1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে পর্যটকদের আকর্ষণ করছে ট্যাটু-সংস্কৃতি

১১ এপ্রিল ২০১১

মা হিৎওয়ে সেই মর্মান্তিক দিনটির কথা স্মরণ করে এখনও কষ্ট পান৷ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগের কথা৷ যেদিন তাঁর মুখে ট্যাটু এঁকে দেওয়া হয়েছিল৷ যা এখনও মাকড়শার জালের মতো ঢেকে রেখেছে তাঁর মুখ৷

https://p.dw.com/p/10r5v
tattoo, artist, shop, customers, memorial, Myanmar, tattooed, women, lure, tourists, মিয়ানমার, পর্যটক, আকর্ষণ, ট্যাটু-সংস্কৃতি
নিজের দেহে ট্যাটু এঁকে নিচ্ছেন এক মহিলা (ফাইল ছবি)ছবি: picture alliance/dpa

পান সুপারি খেতে খেতে মা হিৎওয়ে বললেন, ‘‘তারা যখন আমার চোখের পাতার ওপর দিয়ে ট্যাটু আঁকছিল, তখন আমি ভেবেছিলাম এগুলো উঠে যাবে৷'' ৬৫ বছর বয়সের এই মহিলা তাঁর গ্রামের সবর্শেষ ব্যক্তি, যাঁর মুখে কালি দিয়ে ট্যাটু আঁকা হয়েছিল৷ সামরিক শাসক শাসিত মিয়ানমারের প্রত্যন্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জাতিগত সংখ্যালঘু ‘চিন' সম্প্রদায়ের তরুণীদের মধ্যে এই প্রথা প্রচলিত ছিল সে সময়ে৷ আজ থেকে প্রায় দুই প্রজন্ম আগে ঐ প্রথার সমাপ্তি ঘটলেও, মা হিৎওয়ে সেই সব দুর্ভাগাদের মধ্যে একজন যিনি এখনও মুখে সেই কালিমাখা ট্যাটুর চিহ্ন বহন করে চলেছেন৷ প্রাচীন ঐ ঐতিহ্য অনুযায়ী, একমাত্র মৃত্যুর মধ্যে দিয়েই কোনো ব্যাক্তি তাঁর সেই চিহ্নের হাত থেকে মুক্ত হতে পারেন৷

তবে উধাও হয়ে যাওয়া ঐ প্রথাই এবার যেন এই ঘুমন্ত গ্রামটিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে৷ লেমরো নদীর ধারের এই গ্রামটিতে সেই ট্যাটু-সংস্কৃতিই টেনে আনছে পর্যটকদের৷ এরমধ্যে আছেন এক জার্মান চিত্রগ্রাহক এবং লেখক ইয়েন্স উভে পার্কিটনি৷ যিনি গত দশ বছর ধরে ‘চিন' সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন দলের মধ্যকার ঐতিহ্য নথিভুক্ত কররে রাখছেন৷ তিনি বললেন, ‘‘মা হিৎওয়ে তাঁদের শেষ সন্তান৷'' ১৯৬০-এর দশকের সামাজিক শাসনামলে ঐ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়৷ আর তারপর, ট্যাটু আঁকার ঐ প্রথা ক্রিস্টান মিশনারিদের মধ্যেও চোখে পড়ে না বললেই চলে৷

প্রচলিত এক লোককাহিনীতে বলা হয়, চিন মহিলাদেরকে কুৎসিত দেখানোর জন্য এবং বার্মার শিকার সন্ধানি রাজাদের হাত থেকে তাঁদেরকে রক্ষা করার জন্যই ঐ ট্যাটু আঁকা হতো৷ তবে ট্যাটু আঁকার সৌন্দর্য এবং এর অসুন্দর দিক নিয়ে মতভেদ রয়েছে অনেকের মধ্যেই৷ ঐ গ্রামেরই আরেকজন মহিলা মা সেইন৷ তাঁর বয়স ৬০ বছর৷ তিনি কিন্তু মনে করেন, ট্যাটু আঁকার বিষয়টি ছিল আসলে নারীত্ব এবং তাঁর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য