1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতভেদ

১৯ মার্চ ২০১১

গত বিশ বছর মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ সম্প্রতি এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10cTt
মিয়ানমারের সংসদ ভবনছবি: AP

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ' এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ তবে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলো নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার পক্ষে৷ মিয়ানমারকে অস্ত্র রপ্তানির উপর যেমন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তেমনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ঐ দেশ থেকে দামি রত্ন, ধাতু এবং আসবাবপত্র আমদানি করার উপর৷ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷

গত নভেম্বরে মিয়ানমারে দু'দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ' মনে করছে, চলমান রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল বড় ধরণের সংস্কারের পথ দেখাচ্ছে৷

মিয়ানমারের শ্রম অধিকার বিশেষজ্ঞ এবং লেখক রিচার্ড হর্সি সম্প্রতি মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বলেছেন, মিয়ানমারের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের কোনো কাজে লাগেনি৷ এটা তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে৷

তিনি বলেন, বরং এতদিন পর সেই নিষেধাজ্ঞা উন্নতির হাতিয়ারের বদলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তিনি কিউবা'র সঙ্গে মিয়ানমারের পরিস্থিতির তুলনা করেন৷ বলেন, বরং পশ্চিমা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার এই নীতির কারণে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে লোকজন বিনিয়োগ করতে চান না৷

অন্যদিকে, লন্ডন ভিত্তিক উন্নয়নমূলক সংস্থা ‘বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে'র পরিচালক মার্ক ফার্মম্যানার তাঁর এই কথার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যেমন এই নিষেধাজ্ঞা এই অঞ্চলে বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে না কৃষিক্ষেত্রে, জীবনধারণের জন্য মিয়ানমারের বেশিরভাগ মানুষ যার উপর নির্ভর করে৷'' তিনি মনে করেন, এই দেশে বিনিয়োগে অনাগ্রহের কারণ দেশটির দুর্নীতি এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ৷ তাছাড়া সামরিক জান্তাও সাধারণ মানুষের কল্যাণে আগ্রহী নন৷

তিনি জোরালোভাবে বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে বার্মার সাধারণ মানুষের বা দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কোন উন্নতি ঘটবে বলে আমরা মনে করি না৷''

ফার্মম্যানার বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে সামরিক শাসকরা ভাববে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বার্মার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে৷ তাহলে মানবিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আরও বাড়বে৷ যা বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সুচি'র জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াবে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন