1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

#মি টু-র বিরুদ্ধে ১০০ নারী

১৪ জানুয়ারি ২০১৮

কাথেরিন দেন্যোভ ও আরো ১০০ জন ফরাসি মহিলা শিল্পী ল্য মঁদ দৈনিকে প্রকাশিত একটি খোলাচিঠিতে #মিটু আন্দোলনে পুরুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্রোতের নিন্দা জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2ql6o
ছবি: Getty Images/C. Bilan

প্রখ্যাত অভিনেত্রী দেন্যোভ ও তাঁর সতীর্থদের মতে পুরুষদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে যৌন হয়রানির অভিযোগ অতীতের ডাইনি খোঁজার সমতুল এবং এর ফলে নারী-পুরুষের যৌন স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে৷

#মিটু নারীবাদী সোশ্যাল মিডিয়া আন্দোলনের ফরাসি সংস্করণ হলো #বালঁস-তোঁ-পর (‘তোমার শূকরটিকে বের করে আনো')৷ মঙ্গলবার ল্য মঁদ পত্রিকায় প্রকাশিত খোলাচিঠিতে এ ধরণের প্রচার অভিযানের বিরুদ্ধে ‘‘পবিত্রকরণের নীতিবাগীশ'' জোয়ার আনার অভিযোগ করা হয়েছে৷

খোলাচিঠির প্রায় শ'খানেক স্বাক্ষরকারীর মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী কাথেরিন দেন্যোভ, লেখিকা কাথেরিন মিলে, প্রকাশক জোয়েল লোসফেল্ড এবং জার্মান অভিনেত্রী ও গায়িকা ইনগ্রিড কেইভান৷

‘‘ধর্ষণ একটি অপরাধ, কিন্তু নাছোড়বান্দা হয়ে বা পরোক্ষভাবে কাউকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা অপরাধ নয় – যেমন কোনো পুরুষ ভদ্র ব্যবহার করলে তাঁকে পৌরুষ প্রদর্শন মনে করার কোনো কারণ নেই,'' চিঠিতে বলা হয়েছে৷ ‘‘শুধুমাত্র কোনো মহিলার হাঁটু স্পর্শ করার জন্য বা একটি চুম্বনের প্রচেষ্টার জন্য অনেক পুরুষকে গুরুতর দণ্ড দেওয়া হয়েছে কিংবা তাদের চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷''

অতীতের ডাইনি অপবাদ এবার পুরুষদের?

খোলাচিঠির স্বাক্ষরকারীদের মতে ‘‘মহিলারা, বিশেষ করে তাদের পেশাগত জীবনে যে ধরণের যৌন সহিংসতার শিকার হন, তার বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিবাদ... ডাইনির খোঁজে'' পর্যবসিত হয়েছে৷ 

‘‘মহিলাদের সাহায্য করার পরিবর্তে এই উন্মত্ততা বস্তুত যৌন স্বাধীনতার শত্রুদের, যেমন ধর্মীয় উগ্রপন্থি ও নিকৃষ্টতম প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করছে৷ নারী হিসেবে এই নারীবাদের মধ্যে আমরা নিজেদের খুঁজে পাই না, যে নারীবাদ ক্ষমতার অপব্যবহারের নিন্দা ছাড়িয়ে সামগ্রিকভাবে পুরুষ ও যৌনতার প্রতি ঘৃণায় পরিণত হয়৷''

কাথেরিন দেন্যোভের বিতর্কিত মতামত

এককালে অস্কারের জন্য মনোনীত ফরাসি তারকা কাথেরিন দেন্যোভ ইতিপূর্বেও পুরুষদের বিরুদ্ধে মহিলাদের যৌন হয়রানি নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অভিযান সম্পর্কে তাঁর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷

#মিটু এবং #বালঁস-তোঁ-পর হ্যাশট্যাগ দু'টি সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন যে, এই পদ্ধতি ‘মাত্রাতিরিক্ত'৷ ‘‘তোমার শূকরটিকে বের করে আনো-র পরে কি আসবে? ‘তোমার বণিতাটিকে বের করে আনো?'' গতবছর বলেছিলেন দেন্যোভ৷

গত মার্চ মাসে দেন্যোভ আবার চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন৷ তখন তিনি চিত্রপরিচালক রোমান পোলানস্কির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন৷ ১৯৭৭ সালে এক ১৩ বছর বয়সি কিশোরীকে ‘সংবিধিবদ্ধ ধর্ষণের' দায়ে পোলানস্কি আজও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরারি আসামী হিসেবে গণ্য৷ পোলানস্কির ক্ষেত্রে ‘ধর্ষণ' কথাটির ব্যবহার তাঁর চিরকালই ‘মাত্রাতিরিক্ত' বলে মনে হয়েছে, বলে দেন্যোভ একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন৷

এসি/এসিবি (এএফপি, ইএফই)

২০১৪ সালের এই ছবিঘরটি দেখুন...