1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তি পেলেন অং সান সু চি

১৩ নভেম্বর ২০১০

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা শনিবার বিরোধী নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি দিয়েছে৷ গত ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই বন্দি জীবন কাটিয়েছেন এই নেত্রী৷ তাঁর এই মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা৷

https://p.dw.com/p/Q7tM
মুক্তির পর সু চিছবি: AP

মুক্ত সু চি

সর্বশেষ গৃহবন্দিত্ব থেকে আজকে মানে শনিবারই মুক্ত হবার কথা ছিল অং সান সু চি'র৷ কিন্তু তারপরও খানিকটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছিল সু চি'র সমর্থকদের মধ্যে৷ তবে, এবার আর দেরি করেনি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা৷ ইয়াঙ্গনের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সু চি'র মুক্তির খবর নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হন সরকারি কর্তারা৷ এরপর সু চি'র আইনজীবী নিয়ান উইন জানান, সু চি এখন মুক্ত৷

মুক্তির পর সু চি

সু চি'র মুক্তির আশায় শুক্রবার থেকেই ইয়াঙ্গনে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করে সমর্থকরা, সঙ্গে জড়ো হন বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা৷ শনিবার মুক্তির পর কিছুক্ষণের জন্য বাড়ির বাইরে আসেন সু চি৷ এসময় তাকে বেশ হাসিখুশি এবং কর্মচঞ্চল মনে হচ্ছিল৷ উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে সু চি বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে'৷ সু চি তাঁর দল জাতীয় গণতান্ত্রিক লিগ বা এনএলডি'র ইয়াঙ্গন কার্যালয় পরিদর্শন করবেন রবিবার৷ সেখানেই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখবেন তিনি৷

Flash-Galerie Aung San Suu Kyi
সু চি’র মুক্তির পর সমর্থকদের উল্লাসছবি: AP

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সু চি'র মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ একইসঙ্গে মিয়ানমারের অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদেরকেও মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সু চি'র বন্দিত্বকে ‘প্যারোডি' আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাঁর এই মুক্তি বহু আগেই পাওনা ছিল৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি সু চি'র চলাফেরায় কিংবা বাক স্বাধীনতায় আর কোন হস্তক্ষেপ না করতে মিয়ানমারকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷

মুক্তির পেছনের কারণ

সাত নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় মিয়ানমারে৷ সেই নির্বাচন মোটেই নিরপেক্ষ বা অবাধ হয়নি৷ বরং জান্তা সরকার তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে৷ তবে আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানায়৷ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনের ফলাফল বৈধ করতে সু চি'কে মুক্তি দিয়েছে জান্তা সরকার৷ তাছাড়া, তাঁর গৃহবন্দিত্বের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান