1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মুক্ত' টিকরিটে গণকবরের খোঁজ, গুপ্তস্থান থেকে লড়ছে আইএস

৮ এপ্রিল ২০১৫

টিকরিট দখলের পর হত্যাযজ্ঞের ভিডিও প্রচার করেছিল আইএস৷ শহরটি পুনরুদ্ধারের পর সেখানে গণকবরও খুঁজে পেয়েছে ইরাকি বাহিনী৷ তবে এখনো গুপ্তস্থান থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আইএস যোদ্ধারা৷

https://p.dw.com/p/1F42K
Irak Tikrit Massengrab
ছবি: Reuters/Stringer

গত ৩১ মার্চ সাদ্দাম হোসেনের শহর হিসেবে পরিচিত টিকরিটকে মুক্ত এলাকা ঘোষণা করেছিলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি৷ তবে প্রায় ৯ মাস পর শহরটি থেকে সুন্নিদের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে বিতাড়িত করার আনন্দটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, টিকরিটে বা টিকরিটের আশপাশেই কিছু আইএস যোদ্ধা লুকিয়ে আছে, সুতরাং শহরটিকে এখনই পুরো মুক্ত এলাকা ভাবলে ভুল হবে৷ ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-ঘাবানও তা স্বীকার করেছিলেন৷

মঙ্গলবার হামরির পাহাড় থেকে নেমে আসে কয়েকজন আইএস যোদ্ধা৷ ইরাকি বেসরকারি বাহিনীর তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় তারা৷ হামলায় ৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছে বলে সেনাসূত্র জানিয়েছে৷

গোয়েন্দাসূত্রে খবর পেয়ে টিকরিটের উত্তরের কোয়াদিসিয়া এলাকায় আইএস-এর কয়েকটি গোপন আস্তানায় হামলা চালায় ইরাকি সেনা ও বেসরকারি বাহিনী৷ গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, সেখানে ৮ থেকে ১৫ জনের মতো আইএস যোদ্ধা লুকিয়ে আছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাকি বাহিনীর হামলায় ‘বেশ কয়েকজন' আইএস যোদ্ধা মারা গেলেও এখনো সেখানে যুদ্ধ চলছে৷

Irak Tikrit Kämpfe Eroberung Irakische Armee
টিকরিটে ইরাকের আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিজয়োল্লাসছবি: Reuters/Mushtaq Muhammed

অন্যদিকে টিকরিটের অন্য কিছু এলাকায় গণকবর থেকে লাশ উদ্ধার শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী৷ গত বছরের জুনে টিকরিট দখল করার পর পলায়নে উদ্যত প্রায় সতের শ' ইরাকি সেনা সদস্যকে বন্দি করেছিল আইএস৷ তারপর বন্দি সেনাদের হত্যার বিভৎস কিছু ভিডিও প্রচার করে তারা৷ একটি ভিডিওতে সেনা সদস্যদের হত্যা করে লাশ টাইগ্রিস নদীতে ছুঁড়ে ফেলার দৃশ্যও ছিল৷ তাই ওই সতেরোশ' জনকেই হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হলেও সবার লাশ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ তবু যা পাওয়া যাবে তাতেও আইএস যোদ্ধাদের নির্বিচারে বন্দি হত্যার ব্যাপকতা বোঝা যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷ ইরাকের মানবাধিকার কর্মী কামিল আমিন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে তিনি মনে করেন, আরো অনেক লাশ পাওয়া যাবে৷

এসিবি/জেডএইচ (এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য