1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্লিন্টন বনাম ট্রাম্প: কে জিতলেন?

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শীর্ষ দুই প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সোমবার প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সিএনএন-এর জরিপ বলছে ক্লিন্টন জিতেছেন, তবে ট্রাম্পকেও বিজয়ী বলছে কোনো কোনো জরিপ৷

https://p.dw.com/p/2Qcs7
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিন্টন
ছবি: Getty Images/DW Montage

সিএনএন-এর জরিপ অনুযায়ী, ৬২ শতাংশ ভোটার মনে করছেন বিতর্কে জয়ী হয়েছেন ক্লিন্টন৷

এদিকে ‘টাইম' ম্যাগাজিন তাদের ওয়েবসাইটে বিজয়ী নির্ধারণে একটি জরিপের  আয়োজন করেছে৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছে ১১ লক্ষ ৮৬ হাজারের বেশি৷ ক্লিন্টন ও ট্রাম্প দু'জনই ৫০ শতাংশ করে ভোট পেয়েছেন৷

ডয়চে ভেলের টুইটার অ্যাকাউন্টেও জরিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২,৩৮৬টি৷ ক্লিন্টন পেয়েছেন ২৮ শতাংশ আর ট্রাম্প ৬৩ শতাংশ৷

সিএনবিসি ইন্টারন্যাশনালের টুইটার জরিপেও এখন পর্যন্ত ট্রাম্পকে বিজয়ী দেখা যাচ্ছে৷

টুইটার জানিয়েছে, বিতর্ক নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে আলোচনার ৬২ শতাংশ সময় ট্রাম্পকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ ফেসবুকের ক্ষেত্রে সেটি ছিল ৭৯ শতাংশ৷ তবে সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্লেষণকারী সংস্থা ‘জুম্পফ' বলছে, টুইটারে ক্লিন্টনকে নিয়ে একটি নেতিবাচক মন্তব্যের বিপরীতে তাঁকে নিয়ে ইতিবাচক কথা এসেছে ১.৫টি৷ আর ট্রাম্পের ক্ষেত্রে বিষয়টি ১:১, অর্থাৎ একটি নেতিবাচক মন্তব্যের বিপরীতে সমান সংখ্যক ইতিবাচক কথা এসেছে৷

এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি  জানিয়েছে, দেড় ঘণ্টার বিতর্কে ক্লিন্টন ভালো করেছেন বলে মনে করছেন এশিয়ার বিনিয়োগকারীরা৷ তার প্রতিফলন দেখা গেছে, এশিয়ার বিভিন্ন শেয়ারমার্কেটের লেনদেনে৷

Clinton and Trump spar over trade, taxes

বিতর্কে যেসব বিষয় আলোচিত হয়েছে

অর্থনীতি, বর্ণবাদ থেকে শুরু করে সাইবার নিরাপত্তা, সন্ত্রাস, অভিবাসন ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন হিলারি ক্লিন্টন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে ব্যক্তিগত পর্যায়েও একে অপরকে আক্রমণ করেছেন দু'জন৷ ট্রাম্প আঙুল তোলেন হিলারির ই-মেল কেলেঙ্কারির দিকে৷ অভিযোগ করেন, হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস ‘বিস্তৃত' হয়েছে৷ ক্ষমতায় গেলে আইএসকে পরাজিত করতে ইরাকের সব তেল তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি৷ কয়েক সপ্তাহ আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ক্লিন্টন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মতো ‘শারীরিক সক্ষমতা' রাখেন কিনা, সে প্রশ্নও তোলেন ট্রাম্প৷

অন্যদিকে, নির্বাচনি প্রচার শুরুর পর ট্রাম্প কেন তাঁর আয়করের খতিয়ান প্রকাশ করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ক্লিন্টন৷ রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর মধ্যে থাকা ‘বর্ণবাদ' দমনে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ তিনি৷ বারাক ওবামার জন্ম ‘যুক্তরাষ্ট্রে কিনা' নির্বাচনি প্রচারে এমন প্রশ্ন তোলায় ট্রাম্পের ‍বিরুদ্ধে ‘বর্ণবাদী আচরণের' অভিযোগ আনেন ক্লিন্টন৷

দুই প্রার্থীর মধ্যে পরবর্তী বিতর্ক হবে ৯ অক্টোবর৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স, বিডিনিউজ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান