1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুখ দেখালেই কাজ হবে, খুঁজতে হবে না পণ্য

১৬ জুলাই ২০১০

একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করছেন জার্মান গবেষকরা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোর জন্য৷ যা মনে রাখবে মানুষের মুখ, সঙ্গে পছন্দের তালিকাও৷

https://p.dw.com/p/OMrq
মস্কো, জার্মানি, মেগা স্টোর, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, Germany, Departmental Store, Software
মস্কোর ইকিয়া মেগা স্টোরছবি: AP

ধরুন, আপনি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গেলেন, কিছুই চাইতে হলো না৷ আপনি যা কিনতে গেছেন, সেলসম্যান চেহারা দেখেই ঠিক তাই ধরিয়ে দিচ্ছে আপনাকে৷ যেন কতদিনের চেনা, জানে আপনার পছন্দ-অপছন্দের সবকিছু৷ কত ভালোই না হতো তাহলে৷ অনেকটা স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে, তাই না৷ তবে সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ কার্লসরুয়ের গবেষকরা৷ তবে এই জন্য সেলসম্যানদের থট রিডার হতে হচ্ছে না৷ কম্পিউটারই বলে দেবে ক্রেতার ধরন-ধারণ৷ এমনই একটি সফটওয়্যার তৈরির পরিকল্পনা করছেন গবেষকরা৷

ক্রেতারা কী চান, কিসে তাদের পছন্দ, কিসে অপছন্দ - এ সব নিয়ে গবেষণা হয়েছে বিস্তর৷ তাগিদটা তাদেরই, যারা পণ্য তৈরি করছেন৷ লক্ষ্য বাজারে পণ্যের চাহিদা কেমন হবে, তা আগেভাগে যাচাই করা৷ তবে কার্লসরুয়ের গবেষকরা একটু এগিয়ে ভাবতে চাইছেন৷ তাঁরা যে সফটওয়্যার তৈরিতে হাত দিয়েছেন, তা নির্দিষ্ট দোকানে একজন ক্রেতা কী কিনলেন, কী চাইলেন, এসবের পাশাপাশি ক্রেতার চেহারাও মনে রাখবে৷ পরে যখন একই ব্যক্তি ওই দোকানে কিছু কিনতে যাবেন, তখন জানিয়ে দেবে তার পছন্দের তালিকা৷ এই সফটওয়্যারটি কাজের জন্য তাই একটি ক্যামেরাও লাগবে৷ ক্রেতার মুখের ছবি সংরক্ষিত থাকবে তথ্যভাণ্ডারে৷

তথ্য প্রযুক্তির এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রাইনার স্টিফেলহাগেন বার্তা সংস্থা ডিপিএ'কে বলেন, ‘‘আমরা এখন কাজ করছি সফটওয়্যারটি আরো সংবেদনশীল করতে৷'' মুখের ছবি তোলার পাশাপাশি ক্রেতা নড়াচড়াও নিখুঁতভাবে ধারণ করে রাখবে এটি৷ স্টিফেলহাগেন বলেন, ‘‘ক্রেতা হাত নাড়লেন কীভাবে শুধু তাই নয়, হাতটি কোন পণ্যের দিকে যাচ্ছে, তাও ধারণ করা থাকবে৷''

নির্দিষ্ট ব্যক্তির তথ্য সংরক্ষণের এই প্রক্রিয়া নিয়ে যারা শঙ্কিত, তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন গবেষকরা৷ বলেছেন, এই তথ্য ভাণ্ডারে কারো নাম থাকবে না৷ হয়তো সংখ্যা দিয়েই চিহ্নিত হবেন ক্রেতা৷ গবেষকরা আশা করছেন, নতুন এই সফটওয়্যারটি নিয়ে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানই আগ্রহী হবে৷ তাঁরা একইসঙ্গে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিমানবন্দরগুলোতেও এর ব্যবহার করা যাবে৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক