1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুঠোফোনে যৌনবার্তা রোধে সফটওয়্যার

১৪ অক্টোবর ২০১০

মুঠোফোনে যৌন উদ্দীপক বার্তা আদান-প্রদান এক বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে৷ বিশেষ করে তরুণ যুবা থেকে শুরু করে শিশু কিশোররাও আগ্রহী হচ্ছে এধরণের উদ্দীপক বার্তা আদান-প্রদানে৷ এই সমস্যা কমবেশি পৃথিবীর সবপ্রান্তে৷

https://p.dw.com/p/Pdo8
অ্যাপল আইফোনে পাওয়া যাবে এই সফটওয়্যার (ফাইল ফটো)ছবি: AP

কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এই সমস্যার আপাত সমাধানে নিয়ে হাজির৷ সম্প্রতি সংস্থাটি মার্কিন প্যাটেন্ট দপ্তরে বিশেষ এক সফটওয়ার নিবন্ধন করেছে, যা ‘সেক্সটিং' অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবে৷ এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে মুঠোফোনে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ নিষিদ্ধ করে দেয়া যাবে৷ ফলে এসব শব্দসহ কোন বার্তা মুঠোফোনে আসবে না, একইসঙ্গে অনাকাঙ্খিত শব্দ ব্যবহার করে কোন বার্তা প্রেরণও সম্ভব হবে না৷

শুধু তাই নয়, বিশেষ সফটওয়্যারটি মুঠোফোনে ব্যাকরণ, বানান পরীক্ষাতেও বিশেষ কাজে লাগবে৷ ফলে শিশু কিশোরদের ভাষা চর্চায়ও সহায়ক হবে এটি৷ একইসঙ্গে শিক্ষা সম্পর্কিত কাজেও অ্যাপলের সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যাবে৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপলের এই সফটওয়্যার অন্যান্য টেক্সট ব্লকার থেকে আলাদা৷ কেননা এটি নিষিদ্ধ করা বিষয়বস্তু আলাদা ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে সক্ষম৷ ফলে অভিভাবকরা সহজেই বুঝতে পারবেন, কে তাদের সন্তানকে অশ্লীল বার্তা পাঠাচ্ছে৷ শিশুদের বয়সভেদে বার্তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও রয়েছে এই সফটওয়্যারে৷ তবে, আপত্তিকর ছবি নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা এটিতে নেই৷

এদিকে, ব্রিটেনের ডেইলি মেইল লিখেছে, এধরণের মুঠোফোন এপ্লিকেশন অনর্থক সমস্যারও তৈরি করতে পারে৷ যেমন টেনিস খেলোয়াড় টাইগার উডস কে নিয়ে কোন ভালো বার্তাও ব্লক করে দিতে পারে এটি৷ কেননা, উডস এর যৌন কেলেঙ্কারির নানা খবর আগে প্রকাশ হয়েছে৷ জনপ্রিয় টেক ব্লগ টেকক্রাঞ্চ এর মতে, এই এপ্লিকেশন ‘সেক্সটিং' যুগের অবসান ঘটাতে পারে৷

উল্লেখ্য, অ্যাপল এখনো বাণিজ্যিকভাবে এই সফটওয়্যারটিকে বাজারে ছাড়েনি৷ তবে ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই আইফোনে এই সফটওয়্যারের দেখা মিলবে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার