1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুর ত্রিশ বছর পরেও লেননের স্মৃতি অম্লান

৯ ডিসেম্বর ২০১০

তিরিশ বছর আগে ৮ ডিসেম্বর পপ সংগীতের এক অনন্য প্রতীকপুরুষ, বিটলস গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, জন লেনন নিহত হন৷ সুরকার, গীতিকার, গিটারবাদক ও গায়ক লেনন, পপ সংগীতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন৷

https://p.dw.com/p/QTuQ
জন লেননছবি: AP

মাত্র ৪০ বছর বয়সে, ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিটলস সংগীতগোষ্ঠীর এক অন্ধ ভক্তের গুলিতে নিহত হন রক ও পপ সংগীতের কিংবদন্তি জন লেনন৷ লেনন তাঁর সংগীত ও সমাজমুখীনতার মধ্য দিয়ে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে জেগে আছেন অসংখ্য সংগীতানুরাগীর অন্তরে৷

জন লেননের জন্ম ১৯৪০ সালের ৯ অক্টোবর ইংল্যাল্ডের লিভারপুল শহরে৷ স্কুল শিক্ষার সময় থেকেই রক সংগীতের প্রতি তাঁর ছিল গভীর আগ্রহ৷ মায়ের কাছ থেকে ‘ব্যাঞ্জো' বাদ্যযন্ত্রের তালিম পান তিনি৷ রক এন্ড রোল কিং এলভিস প্রেসলি ছিলেন তাঁর আদর্শ৷ ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রথম ব্যান্ড ‘দ্যা কোয়ারিম্যান'৷ ১৯৫৯ সালে লেনন এই ব্যান্ডের নাম বদলে রাখেন ‘বিটলস'৷ ৬০ সালে এই গোষ্ঠীতে যোগ দেন পল ম্যাককার্টনি ও জর্জ হ্যারিসন৷ ঐ বছরই তারা আসেন জার্মানির হামবুর্গ শহরে৷ এখান থেকেই শুরু হয় সংগীত জগতে বিটলস গোষ্ঠীর অগ্রযাত্রা৷ ৬১ সালে গোষ্ঠীতে যোগ দেন ড্রামবাদক রিংগো স্টার৷ ৬২ সালে বের হয় প্রথম অ্যালবাম ‘লাভ মি ডু'৷ এই বছর থেকেই বিটলস'এর খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইউরোপে৷

পরের বছরগুলোতে বিশ্ব জুড়ে ব্যাপ্ত হয়ে পড়ে বিটলসম্যানিয়া৷ বিংশ শতাব্দীর শো বিজনেসের যাবতীয় রেকর্ড ভঙ্গ করে এই সংগীত গোষ্ঠী৷ ১৯৬৯ সালে বিটলস এর মধ্যে ফাটল ধরতে শুরু করে৷ ঐ বছরই জন লেনন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ইয়োকো ওনোর সাথে প্রতিষ্ঠা করেন ‘প্লাস্টিক ওনো ব্যান্ড'৷ শান্তির পক্ষে সোচ্চার হয়ে ওঠেন লেনন৷ বের হয় তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম৷

লেননের শান্তির স্বপ্ন নিয়ে বাঁধা গানের এক অনবদ্য অ্যালবাম ‘ইমাজিন'৷ ১৯৭৩ সালে তিনি রচনা করেন এই অ্যালবামের গান৷ এ গান সারা দুনিয়ায় শান্তির শাশ্বত এক গান হিসেবেই ঠাঁই পেয়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক