1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মেক্সিকো উপসাগরে তেল রিগের দুর্ঘটনার দায় বিপির’

১ মে ২০১০

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার উপকূল ছুঁয়েছে মেক্সিকো উপসাগরে দূর্ঘটনা কবলিত রিগ থেকে বেরুনো তেল৷ নতুন করে আরও দুটি ফুটো দিয়ে তেল উঠে তা সাগরে ছড়িয়ে পড়ছে৷ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলেই উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা৷

https://p.dw.com/p/NCGG
ছবি: AP

এক কথায় বলা যায় ভয়াবহ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই হতে যাচ্ছে এ ধরণের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুর্যোগ৷ ইতিমধ্যেই উপকূলীয় স্থলভাগে পৌঁছে গেছে তেলের আস্তরণ৷ মার্কিন সরকার সেখানে অতিরিক্ত কোস্ট গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অবস্থার ভয়াবহতায় আলাবামা এবং মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে৷ অবশ্য লুইজিয়ানা এবং ফ্লোরিডায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে আগেই৷ ইতিমধ্যেই ঐ উপসাগরের অন্য যে সব স্থানে কূপ খনন করা হচ্ছিলো, সে সব কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

এই দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী?

মেক্সিকো উপসাগরে এই খনন কাজটি করছিল বৃটিশ পেট্রোলিয়াম বা বিপি৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা এক কথায় বলছেন, বিপি এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ি৷ এ ঘটনাকে ‘জাতীয় গূরুত্বপূর্ণ ঘটনা' হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন সরকার—এ কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ বিপি অবশ্য প্রায় মাথা পেতেই এই দায় স্বীকার করেছে৷ বলেছে, দুর্ঘটনার উপর কারও হাত নেই৷ আমাদেরও ছিল না৷ তবে তেল ছড়িয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে বলে উল্লেখ করলেও বিপির এই কাজ অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছেন লুইজিয়ানার গভর্নর ববি জিন্দাল৷

Ölbohrinsel Mexico gesunken Flash-Galerie
ছবি: AP

প্রাণী ও পরিবেশের কি অবস্থা?

আসলে লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, অ্যালাবামা এবং ফ্লোরিডার উপকূল অঞ্চলেই অ্যামেরিকার ৪০ শতাংশেরও বেশি পরিবেশ বান্ধব জলাভূমি অবস্থিত৷ এখানে রয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি৷ তাছাড়া এটিই হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি এবং কাঁকড়া আহরণের বড় উৎস৷ তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে মাছ ধরাও বন্ধ৷ মৎস্যজীবি এবং চিংড়ি চাষিরা ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মামলা করেছে বিপির বিরুদ্ধে৷ মার্কিন কোষ্টগার্ড জানিয়েছে, উপকূলবর্তী সামুদ্রিক প্রাণী ও পরিবেশ এখন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে৷ আর আগে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও বেশি পরিমাণে তেল বেরুচ্ছে৷ বলে রাখা ভালো, অন্তত ১৯'শ কোস্টগার্ড সদস্য ৩০০ জাহাজ এবং বিমান নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়