1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেঘের ছবি

গ্যোনা কেটেলস/এসি২৬ জুলাই ২০১৪

ছেলেবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে বারণ করা হতো ছোটদের৷ তখন কি আর অভিভাবকরা জানতেন, ঐ আকাশ দেখা, মেঘ দেখাটা আসলে একটা হবি, যার একটা রীতিমতো ইংরিজি নাম আছে: ক্লাউডস্পটিং৷

https://p.dw.com/p/1Cikp
Symbolbild Vater und Tochter
ছবি: Fotolia/Ramona Heim

ইংল্যান্ডের আদি মেঘ চর্চা সমিতির সদস্যসংখ্যা আজ পঁয়ত্রিশ হাজার৷ প্রতিষ্ঠাতা গ্যাভিন প্রিটর-পিনি যখন তাঁর বন্ধু রন ওয়েস্টমাস-কে সঙ্গে করে হাঁটতে যান, তখন চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য যতোই সুন্দর হোক না কেন, তাঁরা দেখেন শুধু আকাশের মেঘ৷ ন'বছর আগে গ্যাভিন তাঁর ‘‘ক্লাউড অ্যাপ্রিসিয়েশন সোসাইটি'' বা ‘মেঘ চর্চা সমিতি' প্রতিষ্ঠা করেন৷ সমিতির কাজ হল: ‘‘ক্লাউডস্পটিং''৷

গ্যাভিন খানিকটা ঠাট্টা করেই বললেন: ‘‘এ কাজে বিশেষ সরঞ্জাম চাই: দু'টো চোখ আর একটা বিশেষ চারিত্রিক গুণ: পারিপার্শ্বিকের প্রতি নজর দেওয়ার ক্ষমতা৷ না, আমি ঠাট্টা করছি৷ আসলে বিশেষ কিছুরই দরকার পড়ে না৷ শুধু উপলব্ধি করতে হবে যে, সৌন্দর্য আর চমকপ্রদ বস্তু খুঁজে পাওয়ার জন্যে দুনিয়া চষে বেড়ানোর দরকার নেই৷''

রন ওয়েস্টারমাস সমারসেটশায়ারের মাঠেঘাটে মেঘ দেখে বেড়ান৷ অন্যান্য ক্লাউডস্পটারদের মতো তিনিও সাথে ক্যামেরা রাখেন৷ রন-এর পরামর্শ হল: ‘‘সবসময়ে নিজের সাথে ক্যামেরা রাখবেন আর আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁটবেন৷ কেননা সাথে ক্যামেরা থাকলে আর আকাশের দিকে চোখ রাখলে ইন্টারেস্টিং কিছু একটা চোখে পড়তে বাধ্য৷ তারপর শুধু ক্লিক করলেই হল: চমৎকার একটা মেঘের ছবি পাওয়া যাবে৷''

একটু কল্পনাশক্তি থাকলে ক্লাউডস্পটারদের ইন্টারনেটে পোস্ট করা ছবিগুলোতে নানা অদ্ভুত জিনিস দেখতে পাওয়া যায়৷ গ্যাভিন প্রিটর-পিনি এই সব ছবি সংকলন করে একটি বই বার করেছেন৷ গ্যাভিন বলেন: ‘‘মেঘের মধ্যে নানা আকার খোঁজার কোনো অর্থ হয় না৷ সেই কারণেই ওটা একটা মূল্যবান কাজ৷ কেননা আজকের যুগের আধুনিক সমাজ আমাদের বোঝায়, আমাদের সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকা প্রয়োজন৷''

বার্লিন ফ্রি ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া বিশারদ হেনিং রুস্ট-এর কাছে মেঘ দেখাটা শুধু সময় কাটানোর পন্থা নয়৷ তিনি মেঘ দেখে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝতে পারেন৷ তিনি জানেন, বিভিন্ন ধরনের মেঘ কী ভাবে তৈরি হয়: ‘‘মেঘ আসলে বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা দিয়ে তৈরি৷ সে জন্যই মেঘ আলাদা করে দেখা যায়, যদিও তার চারপাশের বায়ুমণ্ডল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ৷ বর্ষার মেঘ কিমিউলাস নিম্বাস উঁচু হয়ে আকাশে উঠে যায়, কিন্তু পাশ থেকে কিংবা দূর থেকে দেখলে তাদের ত্রিমাত্রিক আকারটা বোঝা যায়, হঠাৎ মনে হয়, কোনো কুকুরের মুখ অথবা খরগোশ জাতীয় কিছু একটা দেখছি৷''

মেঘ মানে যে বর্ষণের প্রস্তুতি, তাতে ক্লাউডওয়াচার-দের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই৷ গ্যাভিনের ভাষ্যে:

‘‘এই সব ছবি দেখলে বোঝা যায়, মেঘের গঠন ও প্রকৃতি কী ভাবে বদলে যাচ্ছে৷ তখন আমার বিশ্বাস হয় যে, কোনো ছবির দোকানে এই সব ছবিগুলো নিয়ে কেরামতি করা হয়নি৷''

গ্যাভিন প্রিটর-পিনি আর রন ওয়েস্টমাস-এর আরো একটা মেঘ চর্চার দিন শেষ হল৷ রন বলেন, ক্লাউডস্পটিং-এর জন্য সব দিনই সুন্দর – যদি না আকাশ পুরোপুরি নীল থাকে৷ আকাশবাতাস কালো করে করে মেঘ আসাটাই যেন সপ্তম স্বর্গ!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য