1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেয়েদের বিয়ের বয়স হ্রাস

১৩ জুন ২০১৫

বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স কমিয়ে ১৬ না করার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি মনে করে, এমন পরিবর্তন বাল্যবিবাহের হার আরো বাড়িয়ে দিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1Fg3j
Bildergalerie Kinderheirat in Südasien
ছবি: picture-alliance/R. Harding

১৯২৯ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণ বেআইনি৷ বিয়ের স্বাভাবিক বয়সও নির্ধারণ করা আছে৷ বাংলাদেশে কোনো পুরুষের বয়স ২১ এবং কোনো মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিয়ে করলে সেই বিয়ে বাল্যবিবাহ এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ কিন্তু ২০১৪ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভাষণে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ করার সম্ভাবনার কথা বললে মানবাধিকার সংস্থাগুলো শঙ্কিত হয়ে পড়ে৷ মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স না কমানোর দাবি উঠছে তখন থেকেই৷

সম্প্রতি বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ ‘ঘর ভেসে যাওয়ার আগে বিয়ে কর: বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ' শিরোনামের প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে এক হাজারেরও বেশি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে৷ শুধু বাল্যবিবাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে৷ ১০ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷

মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থাকতেই যেখানে ১০ বছর বয়সেও বিয়ে দেয়া হয়, সেখানে ন্যূনতম বয়স ১৬ করলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলেই হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আশঙ্কা৷ এ কারণে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে মেয়েদের বিয়ের বয়স না কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে৷

ইউনিসেফ-এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি৷ বাংলাদেশে শতকরা ২৯ ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১৫-র কম বয়সে৷ শতকরা ১১ ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১১ বছরেরও কম বয়সে!

এসিবি/ডিজি (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য