1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোগাদিশু এখন ব্যস্ত স্কার আর গ্রাম্পি’কে নিয়ে

৬ এপ্রিল ২০১১

স্কার এবং গ্রাম্পি৷ দু’টি সিংহ শাবক৷ মোগাদিশু বন্দরে পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই প্রাণী দু’টিকে৷ আর ইতোমধ্যে এরা পরিণত হয়েছে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু বিমান বন্দরের একটি আকর্ষণে৷

https://p.dw.com/p/10o0F
ফাইল ফটোছবি: AP

চার মাস বয়সি এই সিংহ শাবক দু‘টিকে এখন মোগাদিশু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শেষ মাথায় রানওয়ের কাছে একটি নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে৷

গত ডিসেম্বরে আরবের কোন দেশে পাচারের জন্য জাহাজে করে এদেরকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ এদের পেছনের পাগুলো শক্ত করে একসঙ্গে বাঁধা ছিল৷ তখন সোমালিয়ার সেনাদের নজরে আসে এরা৷ আর তখন থেকে এই প্রাণী দু'টি যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরটির আনন্দের খোরাকে পরিণত হয়েছে৷

বন্দর কর্তৃপক্ষ এদেরকে উদ্ধার করেন এবং বিমানবন্দরভিত্তিক বিদেশি একটি কোম্পানির হাতে এদের দেখাশুনার ভার দেন৷ সোমালিয়া জুড়ে নৈরাজ্য এবং অস্থিরতার মাঝে এই সিংহ শাবক দু'টি এখন নিজেদের মতো করে খাচ্ছে, খেলছে, ঘুমুচ্ছে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ‘‘এ'ধরণের সিংহ শাবকের কথা আমরা যে প্রথমবার শুনছি, এমন নয়৷ এখানে কাজ করছেন এমন কিছু বিদেশিকে এর আগেও সিংহ শাবক ব্রিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷''

মাত্র চার মাসেই সিংহ শাবক দু'টি বেশ বড়সড় এবং তাদের গায়ে এখন যা শক্তি, তা'তে কোনো মানুষের পক্ষে তাদের সঙ্গে হুড়োহুড়ি করা সম্ভব নয়৷ প্রতি তিনদিনে এদেরকে একটি আস্ত ছাগল খাওয়াতে হয়৷ এদের প্রশিক্ষণে যে ব্যক্তি কাজ করছেন তিনি বলেন, ‘‘পঁচিশ বছর ধরে চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দি করে রাখার চেয়ে আমি বরং এদেরকে এমনভাবে দেখতে চাই যাতে এরা দৌড়ে দৌড়ে শিকার করে বেড়াতে পারে৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী