1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোসাক ফনসেকা ও জার্মান কর বিভাগ

৬ এপ্রিল ২০১৬

পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির কেন্দ্রে যে আইনি প্রতিষ্ঠান, তার বিরুদ্ধে এক বছরের বেশি সময় ধরে জার্মানিতে তদন্ত চলছে৷ কোম্পানিটি স্বয়ং এবার অজ্ঞাত বিদেশি হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে৷

https://p.dw.com/p/1IQ7s
মোসাক ফনসেকার লোগো
ছবি: Reuters/B. Yip

জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের কৌঁসুলিরা মোসাক ফনসেকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন একটি চোরাই সিডি-র ভিত্তিতে৷ রাজ্য সরকার দশ লাখ ইউরো দিয়ে এক অজ্ঞাত সূত্রের কাছ থেকে সিডি-টি কেনেন৷ অবশ্য পানামা পেপার্সে যে পরিমাণ তথ্য ফাঁস হয়েছে, সিডি-তে তার সিকির সিকিও ছিল না৷

অপরদিকে একাধিক জার্মান ব্যাংক কর বিভাগকে মোসাক ফনসেকা সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছে এই বলে যে, এই আইনি প্রতিষ্ঠান জার্মানদের কর ফাঁকি দেওয়ায় সাহায্য করে থাকতে পারে৷ পানামা পেপার্স ফাঁসে গোড়া থেকেই সংশ্লিষ্ট জার্মান দৈনিক স্যুডডয়চে সাইটুং জানিয়েছে যে, অন্তত ২৮টি জার্মান ব্যাংক মোসাক ফনসেকা কনসাল্টেন্সি ব্যবহার করেছে৷ তবে পত্রিকাটি জানিয়েছে, পানামা পেপার্স লিক থেকে যে সব জার্মানদের নাম জানা গিয়েছে, তাদের কেউই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পর্যায়ে পড়েন না৷ বাকি বিশ্বের ক্ষেত্রে যে কথা বলা যায় না৷

জার্মান আইনমন্ত্রী হাইকো মাস স্যুডডয়েচে সাইটুং পত্রিকাকে বলেছেন যে, তিনি কালো টাকা সাদা করার বিরুদ্ধে আইন আরো কড়া করতে চান, এছাড়া তিনি একটি ট্রান্সপারেন্সি রেজিস্টার বা ‘‘স্বচ্ছতা নিবন্ধগ্রন্থ'' চালু করতে চান৷ অথচ ইউরোপীয় পর্যায়ে জার্মানিই আরো কড়াকড়ি রোধ করার চেষ্টা করেছে, বলে অভিযোগ করেছেন জার্মান সবুজ দলের যুগ্ম সভাপতি কাট্রিন গ্যোরিং-একহার্ট৷

তবে জার্মানিতে পানামা পেপার্স সম্পর্কে কৌতূহল কম নয়, বলতে কি, সারা বিশ্বকে ধরলে এক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে পাওয়া যাবে জার্মানিকে৷ আরো বড় কথা, ভারত আছে নবম স্থানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে দশম৷ এ হল গুগল ট্রেন্ড-এর গত বুধবারের পরিসংখ্যান৷

জার্মানিতে যারা মসফন বা মোসাক ফনসেকার আয়োজিত ‘শেল কোম্পানি', অর্থাৎ খোলস কোম্পানি ব্যবহার করেছেন, তার মধ্যে ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যাবে, যেমন মার্সিডিজ ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার নিকো রসব্যার্গ৷ ২০০৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নির্দেশাবলী প্রকাশিত হলে পর বারোশ-র বেশি অফশোর শেল কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়, বলে জানিয়েছে স্যুডডয়চে সাইটুং৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের হয়ে মসফন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ ২০০৭ সালে অবধি একা ডয়চে ব্যাংক-ই ৪২৬টি অফশোর ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছিল অথবা চালাচ্ছিল৷ আয়ান ব্রেমার-এর প্রকাশিত টুইটের একটি কার্টুনে বিনিয়োগকারীদের মনোবৃত্তিকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে: কালো টাকা ধোলাই করে সাদা করার মনোবৃত্তি৷

তবে চাপেও পড়ছেন এই ‘লন্ড্রোম্যাটের' ব্যবহারকারীরা৷ আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী গানলগসন-কে যেতে হয়েছে; ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কোকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে৷ শুধু চীন আর রাশিয়ায় পানামা পেপার্স ফাঁসের ব্যাপারটা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আর যথারীতি বিপদে পড়েছে ফিফা: ফিফার নতুন প্রধান ইনফ্যান্টিনো-কে ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে, ক্রস ট্রেডিং নামধারী একটি শেল কোম্পানিকে মাত্র লাখ খানেক ডলারে ইকুয়েডরে চ্যাম্পিয়নস লিগ সম্প্রচারের অধিকার বেচেছিল কেন উয়েফা – তাও আবার ইনফ্যান্টিনোর সই-এর ওপর; ইনফ্যান্টিনো তখন উয়েফার আইনগত পরিচালক ছিলেন কিনা...৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য