1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যাচ গড়াপেটার কেলেঙ্কারিতে জড়াল স্নুকার

৩ মে ২০১০

ক্রিকেট নয় এবার ম্যাচ গড়াপেটার কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় সৃষ্টি হল স্নুকারে৷ আর অভিযোগটি উঠেছে বর্তমান বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধেই৷

https://p.dw.com/p/NCpA
ছবি: dpa

ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ এমন সময় উঠলো যখন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ অভিযোগ উঠেছে বর্তমান এক নম্বর স্নুকার খেলোয়াড় জন হিগিন্স এর বিরুদ্ধে৷ এবং এর পেছনে রয়েছে ব্রিটেনের নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড৷ এই সংবাদ মাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে জন হিগিন্স এবং তাঁর ম্যানেজার প্যাট মুনি এক আরব শেখের সঙ্গে কথা বলছেন৷ এসময় হিগিন্স চারটি ম্যাচে হারার জন্য তিন লাখ ডলারের একটি সমঝোতায় আসেন৷ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই বছরের শেষ দিকে৷ এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরপরই বিশ্ব পেশাদার স্নুকার ও বিলিয়ার্ড সংস্থা জন হিগিন্সকে বহিষ্কার করে৷ সংস্থার চেয়ারম্যান ব্যারি হার্ন জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগ যদি সত্য বলে প্রমাণিত হয় তাহলে আরও দীর্ঘ মেয়াদের জন্য শাস্তি অপেক্ষা করছে হিগিন্স এর বিরুদ্ধে৷

এদিকে হিগিন্স এক বিবৃতিতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন৷ এই অভিযোগকে তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় ম্যাচ বলে উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে কেবল স্নুকার নয় আমার মান সম্মানও হুমকির মুখে৷ গোপন ভিডিওর কথা উল্লেখ করে তিন বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিগিন্স এর সাফাই, ‘আমি জানতাম না এরা রুশ মাফিয়া কি না কিংবা আমরা কার সঙ্গে কথা বলছিলাম৷' এদিকে হিগিন্স এর ম্যানেজার মুনিও এই ভিডিওকে জাল বলে দাবি করেছেন৷

কিন্তু ভিডিওর মালিক নিউজ ওব দ্য ওয়ার্ল্ড বলছে ভিন্ন কথা৷ কারণ ভিডিওতে যে আরব শেখকে দেখা গেছে, তিনি আর কেউ নন তাদেরই একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক৷ নাম তার মাজহার মাহমুদ৷ আরব শেখ সেজে তিনি ফাঁদ পেতেছিলেন হিগিন্স এবং মুনির জন্য৷ এবং এইবারই শুধু নয় এর আগেও তিনি একইভাবে ফাঁদে ফেলেছিলেন মিডলওয়েট বক্সিং এর সাবেক চ্যাম্পিয়ন কো কালাজাগেকে৷ যিনি একসময় কোকেন সেবনের কথা স্বীকার করেছিলেন৷ বোঝা যাচ্ছে, ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো কি ধরণের তীক্ষ্ণ নজর রাখে খেলোয়াড়দের ওপর৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই