1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ম্যানসেসন’-এ মার খেয়েছেন পুরুষরাই, মেয়েরা নয়

১২ মে ২০১০

আর্থিক মন্দার মার খেয়ে কারা বেশি কুপোকাত এ প্রশ্ন যদি ওঠে, তাহলে তার উত্তর কী হবে? ব্যাঙ্ক, গাড়িশিল্প, অ্যামেরিকা, ইউরোপ, এসব তো ঠিকই আছে৷ কিন্তু, সমীক্ষা বলছে, মন্দার মারে পুরুষরাই ধরাশায়ী৷ কিন্তু মেয়েরা নন৷

https://p.dw.com/p/NLM0
ঘরের মেয়েরা কিন্তু স্কুলে পড়িয়ে, দোকানে কাজ করে কিংবা একসঙ্গে দুটো ছোট চাকরি করে চালিয়ে দিচ্ছেন সংসারছবি: AP

নতুন একটা শব্দ চালু হয়েছে অ্যামেরিকা জুড়ে৷ শব্দটা হল ‘ম্যানসেসন'৷ আর্থিক মন্দা বা ‘রিসেসন' থেকেই নেওয়া শব্দটি৷ অর্থও জলবৎ তরলং৷ অর্থ হল, মন্দার মারে সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী হয়েছে পুরুষ৷ তুলনায় নারীরা কিন্তু অনেক বেশি কাজ করছেন৷ দেখা গেছে, ঘরের উপায়ী পুরুষটি যখন চাকরি খুইয়ে ঘরে বসা, তখন নারীটি তাঁর ছোটখাটো একটা দুটো চাকরির সাহায্যে বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন৷ বাড়িভাড়া, বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছেন, মানে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছে৷

মন্দা তার দাঁতনখ বের করার আগে থেকেই এই ছবি দেখা যাচ্ছিল, মন্দার সময়ে ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়েছে৷ ক'দিন আগেই ছিল আন্তর্জাতিক জননী দিবস৷ সেদিন প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে সংবাদসংস্থা এপি জানাচ্ছে, নির্মাণ শিল্প গাড়িশিল্প সহ বিভিন্ন খাতে পুরুষরা যখন ক্রমাগত চাকরি খুইয়েছেন, তখন দেখা গেছে ঘরের মেয়েরা কিন্তু স্কুলে পড়িয়ে, দোকানে কাজ করে কিংবা একইসঙ্গে দুটো ছোট চাকরি করেও চালিয়ে দিয়েছেন সংসার৷ বিশেষ করে অ্যামেরিকাতে এটাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়ে দেখা দিয়েছিল মন্দার ঘোর কলিকালে৷ মানে, ২০০৮, ২০০৯ সালের বেশিরভাগ সময়টাতে৷

Demonstration für Frauenrechte in Pakistan
পিছিয়ে নেই ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের নারীরাওছবি: AP

কিন্তু মন্দা কাটাতে যখন থেকে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে, তখন আবার ছবিটা বদলেছে৷ সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০০৯-এর অক্টোবর থেকে ২০১০-এর মার্চের মধ্যে মার্কিন একাকিনী মায়েরা কিন্তু বড় বেশ চাকরি খোয়াতে শুরু করেছেন৷ কারণ বলা হয়নি, কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে বেকার পুরুষদের মধ্যে ২,৬০,০০০ জন চাকরি পেয়েছেন৷ আর বেকার মেয়েদের মধ্যে মাত্র ৮৬ হাজার জন যোগাড় করতে পেরেছেন উপার্জনের উপায়৷ এই একই সময়ে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় বেকার হয়ে পড়েছেন একাকিনী মায়েরা৷ দেখা যাচ্ছে ২০০৯-এ যেখানে মাত্র ৮ শতাংশ একাকিনী মা ছিলেন বেকার, ২০১০-এ গিয়ে তাঁদের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৩.৬ শতাংশ৷

জননী দিবসে একাকিনী মা বা ‘সিঙ্গল মাদার'- দের জন্য এই সর্বশেষ খবরটা কিন্তু বিশেষ আশাব্যঞ্জক নয়৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন