1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল ঝটিতি সফরে আফগানিস্তানে

১৮ ডিসেম্বর ২০১০

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল একটি অঘোষিত ঝটিতি সফরে আফগানিস্তানে গেছেন৷ তাঁর গন্তব্য: উত্তরের কুন্দুস, যেখানে জার্মান সেনাবাহিনীর মূল শিবির৷ এরপর তিনি যান মাজার-ই-শরিফে, যেখানে সেনাবাহিনীর একটি বহির্শিবির আছে৷

https://p.dw.com/p/QfP1
আফগানিস্তানে ম্যার্কেলছবি: dpa

ম্যার্কেলের মুখে এই প্রথম ‘‘যুদ্ধ'' কথাটা শোনা গেল৷ ‘‘এখানে শুধু যুদ্ধের অনুরূপ পরিস্থিতিই বিরাজ করছে না, বরং এখানে আমরা সেই ধরণের সংঘর্ষে লিপ্ত, যা শুধু যুদ্ধেই দেখা যায়,'' বললেন ম্যার্কেল৷ ‘‘এটা আমাদের পক্ষে একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা৷ নয়তো আমরা শুধু বাবা-মায়েদের কাছ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা শুনেছি,'' মন্তব্য করলেন ম্যর্কেল৷

ম্যার্কেলের কুন্দুসে পদার্পণের মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে এক ২১ বছর বয়সী জার্মান সৈন্য ঐ কুন্দুস শিবিরের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ তাঁকে কুন্দুস থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল৷ তিনি একটি আঞ্চলিক পুনর্নির্মাণ গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করছিলেন৷ অবশ্য চিকিৎসকদের মতে নিহত সৈন্যটি আক্রান্ত হননি, তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটা একটা দুর্ঘটনা৷ ম্যার্কেল এবং তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থেওডোর সু গুটেনবের্গ উভয়ে মর্মাহত হলেও তাঁরা জানেন, এ'বছর এই নিয়ে ন'জন জার্মান সৈন্য আফগানিস্তানে প্রাণ হারাল৷ আফগানিস্তানে নিহত জার্মান সৈন্যদের মোট সংখ্যা ৪০৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel besucht Afghanistan NO FLASH
‘‘আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছি,'' সৈন্যদের বলেন ম্যার্কেলছবি: dpa

‘‘আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছি,'' সৈন্যদের বলেন ম্যার্কেল৷ ‘‘আপনাদের ছাড়া আমরা জার্মানিতে এতো নিরাপদে থাকতে পারতাম না৷ সেটাও সেখানকার মানুষদের বলতে হবে৷'' ইতিপূর্বে ম্যার্কেল নিহত জার্মান সৈন্যদের কথা স্মরণ করেন৷ অত:পর গত নভেম্বরে চার দারা'য় যে সব জার্মান সৈন্যরা সশস্ত্র অভিযানে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তালেবানের বিরুদ্ধে সেই চারদিনের যুদ্ধের বৃত্তান্ত শুনে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘এ' তো আমরা শুধু যুদ্ধের কাহিনী থেকেই জানতাম৷''

ম্যার্কেল এই নিয়ে তৃতীয়বার আফগানিস্তানে গেলেন৷ জানুয়ারিতে জার্মান সংসদে আবার আফগানিস্তান অভিযানের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক হবে৷ সে বিষয়ে বিরোধীদের দ্বিধা বাড়ছে৷ জনসাধারণের মনোভাবও তার অনুকুল নয়৷ এমনকি সরকার জোটের ছোট তরফ মুক্ত গণতন্ত্রীদের প্রধান এবং ম্যার্কেল মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে গত বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, ২০১১ সাল শেষ হবার আগেই সৈন্যাপসারণ শুরু হবে৷ ম্যার্কেল আপাতত সে-ধরণের কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা বলছেন না৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক