ম্যালেরিয়ার ওষুধের কার্যকারিতা বিনষ্ট হওয়ায় উদ্বেগ
১৯ নভেম্বর ২০১০যে কোন রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে ওষুধ আবিষ্কারে অনবরত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা৷ আবিষ্কারও করে চলেছেন নানা জটিল রোগের ওষুধ-পত্র৷ কিন্তু বিজ্ঞানীদের সাথে যেন পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে রোগ-বালাইয়ের জীবাণুরাও৷ একটি রোগের প্রতিষেধক কিংবা ওষুধ আবিষ্কার করার পর কিছুদিন সেটি কার্যকর থাকলেও সেসব ওষুধের বিরুদ্ধে আবারও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে জীবাণুর দল৷
কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধের বিরুদ্ধে জীবাণুর প্রতিরোধের বিষয়টি ডাব্লিউএইচও প্রথম নিশ্চিত করে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে৷ তবে এবার ডাব্লিউএইচও'র বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে জানালেন যে, জীবাণুদের এই প্রতিরোধের হার ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে৷ এছাড়া এই প্রবণতা এখন সংক্রমিত হয়ে মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে৷
এমনকি মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্ত এলাকায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগীর দেহেই কার্যকর হচ্ছে না আর্টেমিসিনিন সমন্বিত চিকিৎসা৷ ওষুধের অকার্যকারিতার লক্ষণ ভিয়েতনামের একটি প্রদেশেও ধরা পড়েছে৷ এছাড়া এই প্রবণতা আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ তাই ম্যালেরিয়ার ওষুধের অকার্যকর হয়ে পড়ার এমন বিষয়ের দিকে তীব্র দৃষ্টি রাখতে হবে বলে সুপারিশ করেছে ডাব্লিউএইচও৷
সংস্থাটির আরো উদ্বেগের কারণ হলো ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি প্রবণ দেশগুলোর ৩৪ শতাংশই নাকি ওষুধের ফলপ্রসূতার দিকে তেমন গভীরভাবে নজর রাখছে না৷ অথচ সংস্থাটির মতে, বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠীই ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে৷ আর এই রোগে প্রতি বছর প্রাণ হারায় প্রায় আট লাখ ষাট হাজার মানুষ৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন