1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যক্ষ্মা প্রতিরোধে নতুন টিকা

২৪ জানুয়ারি ২০১১

যক্ষ্মারোগের টিকা আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা৷ বললেন, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে এবং পরে এই টিকা লড়তে পারবে যক্ষ্মার বিরুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/101Yx
ছবি: AP

অনেক দিন আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা এমন একটি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছিলেন৷ আর তার বাস্তব রূপ দিলেন ডেনিশ বিজ্ঞানীরা৷ ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের ‘স্টাটেন্স সিরাম ইনস্টিটিউট' এর বিজ্ঞানীরা এই টিকা আবিষ্কার করেছেন৷ যে টিকাটি বিশেষ প্রোটিনের মিশ্রণ ঘটিয়ে যক্ষ্মার সক্রিয় এবং সুপ্ত জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা৷

বিসিজি'র মতো এতোদিন আবিষ্কৃত টিকাগুলো দেওয়া হতো, যক্ষ্মার জীবাণু আক্রমণের আগেই৷ কিন্তু কেউ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার পর সেই টিকা আর কাজ করতো না৷ কিন্তু বলা হচ্ছে, নতুন আবিষ্কৃত এই টিকা সেই কাজটি করতে সক্ষম৷

যক্ষ্মা মূলত: ফুসফুসের একটি রোগ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যক্ষ্মা ফুসফুসকে আক্রান্ত করলেও শরীরের অন্যান্য অংশও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, থুথু ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বাতাসে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে৷ দিনের পর দিন কাশি, বুকে ব্যথা এবং ওজন কমে যাওয়া এই রোগের প্রধান লক্ষণ৷ অনেক রোগীর মধ্যে এই রোগ কোনো ধরণের লক্ষণ ছাড়াই সুপ্ত অবস্থায় বিরাজ করে৷ এবং এই ধরণের দশটি ঘটনায় অর্থাৎ সুপ্ত অবস্থার দশটির মধ্য থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র একটিতে সক্রিয় লক্ষণ প্রকাশ পায়৷ ফলে দেখা যায়, চিকিৎসার অভাবে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ এই রোগে মারা যায়৷ আর সারা বিশ্ব জুড়েই এই রোগটি থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রোগ বেশি দেখা যায়৷ বিশেষ করে এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশে৷ একে ক্ষয়রোগও বলা হয়৷ কেননা যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে এটি মৃত্যু ডেকে আনে৷

এন্টিবায়োটিকস এর মাধ্যমে যক্ষ্মার চিকিৎসা করা যায়৷ কিন্তু উন্নয়নশীল দেশের মানুষদের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই সেই চিকিৎসাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়৷ সেখানে নতুন এই টিকাটি সাধারণ মানুষের বেশি উপকারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী