যাঁরা অনেক বেশি প্রশংসার যোগ্য
আলব্যার্ট আইনস্টাইনকে পদার্থবিদ এবং অঙ্ক বিশারদ হিসেবে তো চেনেন, কিন্তু অটিজম-এর মতো অক্ষমতাকে জয় করার কারণেও যে তিনি অনন্যসাধারণ, তা কি জানেন? ছবিঘরে থাকছে তাঁর এবং এমন আরো কয়েকজন অসাধারণ মানুষের কথা৷
আইনস্টাইনের ‘অক্ষমতা’
অ্যাসপারজার্স সিনড্রোম নামের এক ধরণের অটিজম, অর্থাৎ মানসিক সমস্যায় ভুগতেন আলব্যার্ট আইনস্টাইন৷ এই সমস্যা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ খুব জটিল বিষয় নিয়ে ভাবতে ভালোবাসে এবং সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনেও সমস্যা হয় তাদের৷ আইনস্টাইনেরও এ সব সমস্যা ছিল৷ বিবিসি-র এক অনুসন্ধান বলছে, অ্যাসপারজার্স সিন্ড্রোমে আক্রান্তদের মতো তাঁরও একই কথা বারবার বলার অভ্যেস ছিল৷
মোৎসার্ট খুব বেশি হাত-পা নাড়তেন!
সংগীতজ্ঞ মোৎসার্টের মধ্যেও নাকি চোখে পড়ার মতো কিছু অস্বাভাবিকতা ছিল৷ খুব কম বয়সেই তাঁর মধ্যে নানা ধরণের বাদ্যযন্ত্রের প্রতি ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়৷ মাত্র পাঁচ বছর বয়সে খুব দ্রুত সুর রচনাও শুরু করেন৷ কিন্তু লিখতে সমস্যা হতো৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যাটার কারণ অটিজম৷ মোৎসার্টের শ্রুতিতেও সংবেদনশীলতা ছিল৷ আরেকটা অস্বাভাবিকতা ছিল অস্ট্রীয় এই সংগীতজ্ঞের – সবসময় খুব বেশি হাত-পা নাড়াতেন!
ভয় থেকে সুপারস্টার!
‘ঘোস্টবাস্টার্স’ মুভির জন্য সুপরিচিত ড্যান অ্যাক্রয়েডের নাকি ‘দ্য ব্লু ব্রাদার্স’-এ কাজ করার সময় অ্যাসপারজার্স সিনড্রোম ধরা পড়েছিল৷ ঘোস্টবাস্টার্স-এ চমৎকার অভিনয়ের কৃতিত্ব অ্যাসপারজার্স সিনড্রোমকেই দিয়েছেন তিনি৷ ক্যানাডিয়ান এই অভিনেতা ডেইলি মেল-কে বলেছেন, অ্যাসপারজার্স সিনড্রোমের যেসব বৈশষ্ট্য ছিল তার মধ্যে একটি হলো, ভূত এবং পুলিশে ভয়৷ ছবিতে অভিনয়ের সময় তা নাকি খুব কাজে লেগেছে৷
১২ হাজার বই মুখস্থ ছিল যাঁর
কিম পিক নামের কাউকে হয়ত আপনি চেনেন না৷ তাঁকে নিয়ে একটি ছবি হয়েছে, ছবির নাম ‘রেন ম্যান’৷ আশির দশকের এই ক্লাসিক মুভির কাহিনি চার্লি ব্যাবিট এবং তাঁর অটিস্টিক ভাই রেমন্ডকে ঘিরে৷ সেখানে রেমন্ড, অর্থাৎ বাস্তব জীবনের কিম পিকের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন ডাস্টিন হফম্যান৷ ২০০৯ সালে মারা যান পিক৷ ১২ হাজার বই একদম মুখস্থ ছিল বলে কিম পিক-কে এক বাক্যে পণ্ডিত মানতেন সবাই৷
যিনি এক জায়গায় বসতে ভালোবাসতেন
চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশিষ্ট নাম ড. শেল্ডন কুপার৷ ‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি’ – ছবি দেখে থাকলে নামটা নিশ্চয়ই শুনেছেন৷ ছবিতে কুপার হয়েছিলেন জিম পারসন্স৷ পারসন্সের ধারণা, কুপারেরও অ্যাসপারজার্স সিনড্রেম ছিল৷ বলা হয়ে থাকে, কুপার শ্লেষাত্মক কথা একেবারেই বুঝতেন না, সপ্তাহে এক দিন খুব ঘটা করে খেতে বসতেন এবং সব সময় এক জায়গাতেই বসতেন৷