1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান বিষয়ক শীর্ষ পদক পেলেন ম্যার্কেল

২ এপ্রিল ২০১০

শীর্ষ পর্যায়ের বিজ্ঞান বিষয়ক পদক পেলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক নীতিমালার জন্যই ম্যার্কেলের শিরে শোভা পাচ্ছে এই পদক৷

https://p.dw.com/p/Mlmy
চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের হাতে পদক তুলে দিচ্ছেন লর্ড মার্টিন রিজছবি: picture-alliance/dpa

বর্তমানে সারাবিশ্ব ম্যার্কেলকে একজন রাজনীতিক হিসেবে চিনলেও মূলত তিনি একজন পদার্থ বিজ্ঞানী৷ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি ‘রয়্যাল সোসাইটি' রাজা দ্বিতীয় চার্লস স্মৃতি পদক তুলে দিলেন ৫৫ বছর বয়সি ম্যার্কেলের হাতে৷ ম্যার্কেলের ঝুলিতে এই পদক যোগ হওয়া প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেন, ম্যার্কেলের প্রতি যুক্তরাজ্য এবং সারা পৃথিবীর যে সম্মান তারই অন্যতম স্বীকৃতি এই পদক৷

রয়্যাল সোসাইটির সভাপতি মার্টিন রিজ বলেন, ইউরোপসহ সারাবিশ্বে বিজ্ঞানের উন্নয়নে যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, তারই স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যার্কেলকে প্রদান করা হচ্ছে এই সম্মানজনক পদক৷ এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ভূমিকাকে এগিয়ে নিতেও সহায়ক নীতিমালার জন্য তাঁর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ রিজ আরো বলেন, ‘‘জনগণের জীবনে এবং অর্থনীতির উপর বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক নীতিমালার প্রভাব সম্পর্কে একজন পেশাদার বিজ্ঞানী হিসেবে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের অত্যন্ত বিচক্ষণ বিবেচনা রয়েছে৷''

No-Flash Angela Merkel
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল (ফাইল ছবি)ছবি: AP

জার্মান বিজ্ঞানী এবং একইসাথে রাজনীতিক আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আগে এই সম্মানজনক পদকটি পেয়েছেন ২০০৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম এবং ১৯৯৮ সালে জাপানের সম্রাট আকিহিতো৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস' দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলকে জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক এবং বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীদের একজন বলে উল্লেখ করে৷

১৯৫৪ সালে হামবুর্গে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব ম্যার্কেল৷ জানা গেছে, ম্যার্কেল তাঁর পরিবারসহ পূর্ব জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ঠিক এমন সময় যখন অন্যান্যরা উল্টো দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রত ছিল৷ বিজ্ঞানী ম্যার্কেল ৩৫ বছর পর্যন্ত রাজনীতির অঙ্গনের ছায়া মাড়াননি৷ কিন্তু বার্লিন প্রাচীর পতনের পর ঘটনাচক্রে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোলের নজরে পড়েন ম্যার্কেল৷ সেকারণেই একসময় ‘কোলে'র মেয়ে' হিসেবে পরিচিতি পান ম্যার্কেল৷

যুক্তরাজ্য সফররত ম্যার্কেল, এর আগে, বাকিংহ্যামশায়ারে মিলিত হন গর্ডন ব্রাউনের সাথে৷ বৈঠকে অর্থনীতি এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ইউরোপে এখনও বিদ্যমান সমস্যাসমূহের সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি, এমনই মন্তব্য করেছেন ম্যার্কেল বৃহস্পতিবারের বৈঠকে৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়