1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ কমাতে হিলারিকে কারজাইয়ের ফোন

৩ এপ্রিল ২০১০

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান শীতল সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/MmeP
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইছবি: PA/dpa

গত বৃহস্পতিবার কারজাই বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি করার অভিযোগ তুলেছিলেন৷ এরপর যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ঐ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়৷

আফগান সংসদে দেয়া ঐ বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট কারজাই দুজন পাশ্চাত্য কুটনীতিকের নাম উল্লেখ করে বলেন যে তাঁরাই ছিলেন কারচুপির নেপথ্যে৷ কাবুলে একটি পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় বসানোই ছিল এই কারচুপির মূল লক্ষ্য, বলেন কারজাই৷

তাঁর এই বক্তব্যের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মুখপাত্র রবার্ট গিবস কারজাইয়ের বক্তব্যকে ‘অস্বস্তিকর' বলে অভিহিত করেন৷ তিনি বলেন, কারজাইয়ের এই বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন৷ ওদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি আফগান প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে ‘উদ্ভট' বলেছেন৷ এছাড়া কাবুলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্ল আইকেনবেরি দেখা করেন প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের সঙ্গে৷ আর সেসময়ই কারজাই ফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনকে৷

Robert Gibbs Pressesprecher im Weissen Haus in Washington
ওবামার মুখপাত্র রবার্ট গিবস কারজাইয়ের বক্তব্যকে ‘অস্বস্তিকর' বলেছেনছবি: AP

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রাউলি এই টেলিফোন আলোচনাকে গঠনমূলক বলে মন্তব্য করেছেন৷ ক্রাউলি বলেন যে তাঁরা কারজাইয়ের ফোন পেয়ে খুশি৷ দু'দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রেসিডেন্ট কারজাই তাঁর অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্রাউলি৷ এছাড়া আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন কারজাই, বলেন ক্রাউলি৷ তবে দুই নেতার মধ্যে আলোচনার সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে করা বক্তব্যের জন্য সরাসরি ক্ষমা চান নি কারজাই৷ বরং তাঁর বক্তব্যের বিপুল প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি অবাক হয়েছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন কারজাই৷

উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক তেমন একটা ভাল যাচ্ছিলনা৷ গত মাসেই ওবামা প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আফগান প্রেসিডেন্টের একটি পরিকল্পিত সফর বাতিল করে দেয়৷ অভিযোগ, আফগানিস্তানের নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিতে এক বিল পাশ করান প্রেসিডেন্ট কারজাই৷ তাছাড়া সেসময় আফগানিস্তান ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে কাবুল সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চটিয়ে দেয়৷

এরপর সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আকস্মিক এক সফরে কাবুলে গিয়ে প্রেসিডেন্ট কারজাইকে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন৷

কারজাই যে দুজন পশ্চিমা কুটনীতিকের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন তাঁরা হলেন জাতিসংঘের প্রাক্তন ডেপুটি প্রধান পেটার গ্যালব্রেথ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব জেনারেল ফিলিপ মরিলন৷ তবে গ্যালব্রেথ এই অভিযোগকে ‘অবাস্তব আর ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন