1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেডলি’কে জেরা করার আর্জি ভারতের

১৭ মার্চ ২০১০

ভারত ও ডেনমার্কে সন্ত্রাসী কান্ডের আসামি ডেভিড হেডলি’কে দোষী সাব্যস্ত করে আগামিকাল রায় দেবার কথা যুক্তরাষ্ট্রের৷ এদিকে, ২৬-১১’র মুম্বই কান্ড ও পুনে বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে তাঁকে জেরা করার আর্জি জানিয়েছে ভারত৷

https://p.dw.com/p/MVOa
ফাইল ফটোছবি: AP

যদিও আইনি জটিলতায় এখনও তা সম্ভব হয়নি - জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷

জন্ম ওয়াশিংটনে৷ পাকিস্তানি বাবা ও অ্যামেরিকান মায়ের সন্তান, লস্কর-ই-তইবার এজেন্ট ডেভিড হেডলি'কে দোষী সাব্যস্ত করে আগামিকাল রায় দিতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো আদালত৷ ভারতে ও ডেনমার্কে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কান্ডে জড়িত সন্দেহে গতবছর তাঁকে গ্রেপ্তার করে এফবিআই৷ সেসময় হেডলি তাঁর অপরাধ অস্বীকার করেছিল৷ এবার নাকি সে নিজেই তাঁর অপরাধ কবুল করতে যাচ্ছে৷

অনেকে মনে করছেন, এফবিআই'এর সঙ্গে গোপন রফার পরই হেডলি দোষ স্বীকার করছে, যাতে তার লঘু শাস্তি হয়৷ কেননা মুম্বই কান্ডে মার্কিন নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্রে তার ফাঁসিও হতে পারতো৷ উল্লেখ্য, ডেভড হেডলি এক সময় মার্কিন গোয়েন্দা চর ছিল৷ তাই রফাটা হয় সহজে৷

এদিকে, ভারতে ডেভিড হেডলি মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সন৷ ২৬-১১ মুম্বই হামলা এবং পুনের জার্মান বেকারি বিস্ফোরণে তাঁর ভূমিকা নিয়ে ভারত হেডলি'কে জেরা করার আর্জি জানিয়ে আসছে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে৷ হেডলি দোষ স্বীকার করলেও, ভারতের অবস্থান তাতে বদলাবেনা৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এবিষয়ে আইনি জটিলতা অনেক৷ এছাড়া, শিকাগোর আদালত হেডলি'কে অভিযুক্ত করেছে৷ তবু ভারত হেডলি'কে জেরা করার আর্জি ছাড়বেনা৷

অন্যদিকে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ হেডলি'কে ভারতের হাতে তুলে দিতে বা তাঁকে জেরা করতে দিতে নারাজ৷ অবশ্য তাদের কথায়, হেডলিকে জেরা করে তারা যেসব তথ্য পেয়েছে, তা ভারতকে দেওয়া যেতে পারে৷ তারা জানায়, হেডলি বেশ কয়েকবার ভারতে আসে৷ সে সময় সে নাকি সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাব্য স্থানগুলি চিহ্নিত করে তার ফটো পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তয়বার কাছে পাচার করে৷ তাছাড়া, হেডলি পাকিস্তানের জঙ্গি শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলেও সন্দেহ যুক্তরাষ্ট্রের৷ হেডলি ডেনমার্কের এক বিখ্যাত সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং কার্টুনিস্টকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল বলেও অভিযোগ৷

প্রতিবেদক : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ