1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক টেনিসে পিছিয়ে পড়ছে: ক্রিস এভার্ট

১১ মে ২০১৩

সত্তরের দশকে মহিলাদের টেনিসে মার্কিন মুলুকের ক্রিস এভার্টের নাম লোকে এক ডাকে চিনতো৷ ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম, সাতবার ফ্রেঞ্চ ওপেন, ছ’বার ইউএস ওপেন৷ তিনি এখন মার্কিন টেনিসের বিকাশ নিয়ে আসলেই খুব চিন্তিত৷

https://p.dw.com/p/18VPj
ছবি: Getty Images

মার্কিন পেশাদারি টেনিস ‘‘একটি গোটা প্রজন্মকে বাদ দিয়ে গেছে'', বলেছেন ক্রিস এভার্ট, কেননা পুরুষদের টেনিসে অ্যান্ডি রডিক ও মহিলাদের টেনিসে সেরেনা উইলিয়াম্সের সাফল্যের পর যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো সমপর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি করতে পারেনি৷

ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে কথা বলার সময় এভার্ট মন্তব্য করেন যে, তিনি যে আমলে খেলতেন, তখনকার তুলনায় টেনিস অনেক বেশি আন্তর্জাতিক হয়ে পড়েছে৷ সে সময় গোটা দশেক দেশের খেলোয়াড়রা ট্যুরে, অর্থাৎ এক প্রতিযোগিতা থেকে আরেক প্রতিযোগিতায় যেত; এখন যায় ২০০টি দেশের প্লেয়ার, এবং তাদের মধ্যে অ্যামেরিকানদের সংখ্যা মুষ্টিমেয়৷

একজন মার্কিন পুরুষের কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জেতার ঘটনা ঘটেছে শেষ দশ বছর আগে, ২০০৩ সালে, অ্যান্ডি রডিক যখন ইউএস ওপেন জেতেন৷ অন্যদিকে সেরেনা উইলিয়াম্স আপাতত মহিলাদের বাছাই তালিকায় প্রথম হলেও, তাঁর বয়স দাঁড়িয়েছে ৩১-এ৷ সেরেনার পরে মহিলাদের বাছাই তালিকায় দ্বিতীয় মার্কিনি হলেন স্লোন স্টিফেন্স, যার স্থান ১৭৷ টেনিসে পুরুষদের বাছাই তালিকায় সর্বোচ্চ মার্কিন পুরুষ হলেন স্যাম কোয়েরে, তাঁর স্থান ১৮৷

Australian Open Tennis Serena Williams 21. Januar 2013
সেরেনা উইলিয়ামসছবি: Reuters

‘‘ক্ষুধা''

এভার্ট আরো একটা কথা বললেন, যেটা খেলাধুলায় সাফল্যের ক্ষেত্রে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়৷ এখন অনেক ছোট ছোট দেশ থেকে খেলোয়াড়রা আসে, যে সব দেশে টেনিস টপ স্পোর্টগুলোর মধ্যে পড়ে৷ সেখানে টেনিসে ফান্ডিং-এরও অভাব নেই৷ এছাড়া সে সব দেশের অনেক খেলোয়াড়ের কাছে টেনিস হলো দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হবার একটা পথ৷ এবং তারা সাফল্যের জন্য ‘‘ক্ষুধিত,'' বললেন এভার্ট৷ সে তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে উঠতি মহিলা প্লেয়ারদের মধ্যে স্লোন স্টিফেন্স এবং বিশ্বে ৬৮ নম্বর বাছাই বেথানি মাটেক-স্যান্ডস ছাড়া আর কেউ দৃশ্যত এভার্টের নজর কাড়েনি৷ ৫৮ বছর বয়সি এভার্ট ফ্লোরিডায় তাঁর নিজের টেনিস অ্যাকাডেমি চালান৷

অতীতের অর্জন

মহিলা টেনিসের অন্যান্য দিক সম্পর্কেও কথা বলেন ক্রিস এভার্ট৷ এনবিএ-র বাসকেটবল তারকা জেসন কলিন্স সম্প্রতি নিজের সমকামী হওয়ার কথাটা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন৷ সেই প্রসঙ্গে এভার্ট স্মরণ করেন যে, সে আমলে তাঁর দুই মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী বিলি জিন কিং এবং মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, দু'জনেই সমকামী ছিলেন এবং প্রকাশ্যে তা জ্ঞাপনও করেছিলেন৷ আজ বিশ্ব ও সমাজ অনেক বেশি উদার হয়েছে, বলেন এভার্ট৷

তবে বিলি জিন কিং যে মহিলা খেলোয়াড়দের পুরস্কারের অর্থ পুরুষদের সমান করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন, এভার্ট সেকথাটাও স্মরণ করেন৷ আজ সব ক'টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে, এমনকি ফার্স্ট রাউন্ড থেকেই মহিলারা পুরুষদের মতোই অর্থ পান৷ এছাড়া পুরস্কারের অর্থ সাধারণভাবেই বেড়েই চলেছে৷ তাই সেরেনা উইলিয়াম্স গত বছর উইম্বলডন জিতে পেয়েছিলেন ১৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা কিনা ক্রিস এভার্ট তাঁর ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ক্যারিয়ারের সবটা জুড়লেও পাননি৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য