1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কে এই যুবরাজ?

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৮ মার্চ ২০১৬

নামটা শুনলেই ভারতীয় দলের বিখ্যাত এক ক্রিকেটারের কথাই মনে আসে৷ কিন্তু না, এই যুবরাজ সে নয়৷ এ হলো চারপেয়ে কামধেণু৷ অতি উন্নত প্রজাতির এক দুর্লভ ষাঁড়, যার ‘সিমেন' বা বীর্য বিক্রি করে মালিকের রোজগার বছরে ৪০-৫০ লাখ টাকা৷

https://p.dw.com/p/1IJXq
কামধেণুর কার্টুন
ছবি: Imago

কিছু দিন আগে দিল্লিতে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত কৃষি উন্নতি মেলায় যুবরাজ নামের এই ষাঁড় সকলের দৃষ্টি কেড়ে নেয়৷ দিল্লির কৃষি মেলায় মুরাহ প্রজাতির অতি উন্নত মানের এই ষাঁড়ের বেষ্টনিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কৃষক ও ডেয়ারি মালিকদের ছিল দেখবার মতো ভিড়৷

৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার হৃষ্টপুষ্ট যুবরাজ নামের এই ষাঁড়টিকে দশ সদস্যের এক জুরি বোর্ড দেশের সেরা গবাদি পশুর স্বীকৃতি দিয়েছেন৷ যুবরাজের বাজার দাম অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, সাত কোটি টাকা৷ সকলের তাই নানা প্রশ্ন৷ বড়লোক ডেয়ারি মালিকরা যুবরাজকে কিনতে চাইলে যুবরাজের পালক পিতা করমবীর সিং-এর একই উত্তর৷ ‘‘না, আমার যুবরাজ বিক্রয়যোগ্য নয়৷'' তবে হ্যাঁ, বিকল্প সমাধান নিশ্চয় আছে৷ সেটা হলো, যুবরাজের ‘সিমেন' বা বীর্যের সাহায্যে মুরাহ প্রজাতির গাভি ও স্ত্রী-মহিষকে কৃত্রিমভাবে নিষিক্ত করা যায়৷ আর তাতে বাচ্চা হলে সেই গাভি ও মহিষের গড় দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা বা পরিমাণ দাঁড়ায় কমপক্ষে দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ লিটার৷

তাই যুবরাজের বীর্যের চাহিদা বিরাট৷ ঐ ‘সিমেন' বেচেই তো করমবীরের রোজগার এখন দৈনিক ৩০ হাজার টাকার মতো৷ কিভাবে এই বীর্য সংগ্রহ করা হয় এবং কোন বৈজ্ঞনিক পদ্ধতিতে তার প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ করা হয়, সেটা দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে করমবীরের কৃষি-ফার্মে, যা কিনা দিল্লির লাগোয়া রাজ্য হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার সুনারিরিও গ্রামে৷

এই কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কে করমবীর বললেন, ‘‘আমার যুবরাজ দিনে সাড়ে তিন থেকে পাঁচ মিলিলিটার সিমেন দেয়৷ এই সিমেনের জন্য যুবরজকে ইলেক্ট্রো-স্টিমিউলেশন পদ্ধতিতে উত্তেজিত করা হয়৷ এরপর নিসৃত সিমেনকে পাতলা করে ৫০০ থেকে ৬০০ ডোজ সলিউশন তৈরি করা হয়৷''

এমন প্রতি ডোজের বাজার দাম প্রায় হাজার বারো'শ টাকা৷ কিন্তু সমাজের উপকারের কথা ভেবে তিনি প্রতি ডোজের দাম রেখেছেন ৩০০ টাকা৷ মানে মাসে লাখ চারেক টাকা, যা বছরে দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৫০ লাখের মতো৷

তবে হ্যাঁ, আট বছর বয়সি যুবরাজের খোরাকি ও দেখভালের খরচও কম নয়৷ দৈনিক খরচ তিন হাজার টাকা৷ এছাড়া তাকে সুস্থ-সবল রাখতে নিয়মিত খাওয়ানো হয় অন্য পশু খাদ্যের সঙ্গে কয়েক কিলো আপেল এবং অন্যান্য ফলফলাদি৷

মুরাহ প্রজাতির অতি উৎপাদনশীল এই ষাড় পাওয়া যায় প্রধানত মধ্য ও উত্তরভারতে৷ যুবরাজের প্রজাতির গবাদি পশুর সঙ্গে তুলনীয় জাফরাবাদী এবং নীলি রবি প্রজাতি গবাদি পশুর৷ কথায় কথায় যুবরাজের পালক পিতা করমবীর জানান যে তিনি তাঁর পুত্র সমান কামধেণু যুবরাজ ষাড়ের বাবার নামও ক্রিকেটার যুবরাজের বাবা-মার নামে রেখেছেন৷ যোগরাজ সিং এবং গঙ্গা৷

তা তাঁর প্রিয় ষাড়টির নাম যুবরাজ রাখার কারণ কী? ‘‘ক্রিকেটারদের মধ্যে যুবরাজ যেমন বলিষ্টতার এক উজ্জ্বল প্রেরণা, এই যুবরাজও তেমনি'', বললেন যুবরাজের পালক পিতা করমবীর সিং৷

কি বন্ধু, যুবরাজের গল্প কেমন লাগলো আপনার? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য