1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যেন একটা দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি

২০ মার্চ ২০১১

যদিও তার ফলে ত্রাস যে কিছু কমে, এমন নয়৷ ২০৬ রানের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল বাংলাদেশ৷ কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা: ৫৮-র পর ৭৮৷ মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস৷

https://p.dw.com/p/10cps
ক্রিকেটে সূর্যাস্ত মানেই সূর্যোদয়ছবি: AP

ঝড় নয়, ক্ষোভের বন্যা বয়ে গেছে গণমাধ্যমে এই পরাজয় নিয়ে৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম একে আখ্যা দিয়েছে ‘মান হারানোর হার'৷

জাতীয় ক্ষোভ যে কখন জাতীয় ঠাট্টায় পরিণত হয়েছে, তা বোঝা যায়নি৷ বিডিনিউজের বিবরণেই আছে, বাড়ির গিন্নীরা নাকি মাঠ ফেরৎ দর্শকদের আঁতে ঘা দিয়ে বলেছেন: কি, রঙ খেলবেন না? পাখি-পড়া করে শেখানো বাচ্চারা দর্শকদের এসে বলছিল: বাঘ এখন ম্যাঁও হয়ে গেছে৷ ওদিকে দর্শকদের অনেকেই নাকি গ্যালারিতেই খুলে রেখে এসেছেন বাংলাদেশের জার্সি৷ পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ৫৮ রানে, তখন থেকেই স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দর্শকদের চিৎকার: ‘এক রান, এক রান'৷

দেশজোড়া মানুষের প্রত্যাশার চাপ

ভোরের কাগজ লিখেছে: ‘একটি জয়ের অপেক্ষায় ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাসিন্দারাই নয়, দেশ-বিদেশে অবস্থানরত কোটি কোটি বাঙালি পথ চেয়ে ছিল৷' এই হল সেই প্রত্যাশার পরিমাপ৷ অপরদিকে যে কথাটা বারংবার দেখা যাচ্ছে, সেটা হল ‘দায়িত্বশীল ব্যাটিং'৷ ব্যাটসম্যানদের ওপরেই এবার ঝাঁঝ৷ ভোরের কাগজ লিখেছে: ‘বোলাররা বারবার আশা জাগালেও তা ধরে রাখতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা৷'

আবেগপ্রবণ জাত

সমকালের প্রতিবেদক লিখেছেন: ‘বিশ্বকাপ বিসর্জনের শূন্যতা এদিন গোটা দেশকেই নাড়া দিয়েছিল সুনামি আক্রান্ত জাপানের মতো৷' অথবা: ‘বাংলাদেশের ব্যাঘ্রবাহিনী গোটা জাতিকে লজ্জায় ডুবিয়েছে৷ তারা পেছনে হাঁটার নতুন এক নজিরও সৃষ্টি করল৷... ব্যাটিংয়ের যে অবস্থা তাতে এখনই এ দলের প্রত্যেকের হাতে ‘এসো ব্যাটিং শিখি' ধরণের আদর্শলিপির বই ধরিয়ে দিতে হবে৷' প্রথম আলোর টিপ্পনি, এক লাইনেই ম্যাচ রিপোর্ট সেরে দেওয়া যায়: ‘বোলিং খারাপ হয়েছে, ফিল্ডিং হয়েছে আরো খারাপ আর ব্যাটিং বোঝাতে জঘন্য বলাটাকেও মনে হচ্ছে উদারতা!'

‘স্বপ্নের সমাধি'

লিখেছে যুগান্তার৷ তবে জনকণ্ঠ একটা পথের সন্ধান দিয়েছে৷ লিখেছে রূপকথা থেকে নির্মম বাস্তবতায় নেমে আসার কথা৷ সেটাও কি ক্রিকেটের একটা শিক্ষা নয়?

গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়