1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে কোনো দিন রায়

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ জুন ২০১৩

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনসহ সব কাজ শেষ৷ ট্রাইব্যুনাল-২ যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করবে৷ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ মনে করেন, সব অভিযোগ প্রমাণ করা গেছে৷

https://p.dw.com/p/18kBD
Bangladeshi police officers escort Delwar Hossain Sayeedi, center with cap, a leader of Bangladesh's largest Islamic party Jamaat-e-Islami, as he comes out after appearing before a special tribunal in Dhaka, Bangladesh, Monday, Nov. 21, 2011. The prosecution has begun reading out the allegations Sayedee who is being tried by the international crimes tribunal on charges of committing crimes against humanity during the Bangladesh Liberation war in 1971. (AP Photo/Pavel Rahman)
ছবি: AP

জামায়াত নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০১০ সালের ২৯শে জুন৷ ঐ বছরের ২রা আগস্ট তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা এবং ফরিদপুরে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং অগ্নি সংযোগসহ মোট সাতটি অভিযোগ আনে৷

এর মধ্যে রয়েছে ঢাকায় ইত্তেফাকের তৎকালীন নির্বাহী সম্পাদক সিরাজউদ্দিন হোসেনকে হত্যা, মে মাসে ফরিদপুরের সংখ্যালঘু এলাকা বৈদ্যডাঙি, মাঝি ডাঙি ও বালা ডাঙি গ্রামে হামলা এবং অগ্নি সংযোগ৷ উল্লেখ্য, সেই হামলায় ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন৷

এরপর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ফরিদপুরের রথখোলা এলকায় রণজিত নামে একজনকে অপহরণের পর হত্যা৷ জুলাই মাসে মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ পাখিকে নির্যাতন৷ আগস্টের পর ঢাকায় সুরকার আলতাফ মাহমুদ, জহির উদ্দিন জালাল, বদি, রুমি, জুয়েল এবং আজাদকে হত্যা এবং ১০ই ডিসেম্বর থেকে মুজাহিদের পরিকল্পনায় ঢাকায় বুদ্ধিজীবী হত্যা৷ এছাড়া, ফরিদপুরের খলিলপুরে ১২ জন সংখ্যালঘুকে হত্যার অভিযোগও আছে মুজাহিদের বিরুদ্ধে৷

মুজাহিদের পরিকল্পনায় রাজাকার আলবদর এবং শন্তি কমিটিরসদস্যরা এইসব হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ মুজাহিদ নিজেও সরাসরি কোনো কোনো হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়৷ এই মামলায় সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী এবং আহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন৷

প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ ডয়চে ভেলেকে জানান যে, মুজাহিদের বিরুদ্ধে তারা সাতটি অভিযোগই প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন৷ তবে শুধু সাক্ষী নয়, তথ্য প্রমাণও হাজির করেছেন তারা৷ তাই তারা আশা করেন, ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে৷ তবে মুজাহিদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন যে, মুজাহিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণ করা করতে পারেনি প্রসিকিউশন৷ তাঁর মতে, এটি একটি মিথ্যা এবং সাজানো মামলা হওয়ায় তা প্রমাণের প্রশ্নই ওঠে না৷ তিনি আশা করেন, এই মামলায় মুজাহিদ বেকসুর খালাস পাবেন৷ তাজুল ইসলামের দাবি মিথ্যা মামলার দায়ে প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে মামলার আদেশ দেয়া উচিত ট্রাইব্যুনালের৷

২০১০ সালের ২৫শে মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ছয়টি মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছে৷ এর মধ্যে চারটি মামলার রায়ে তিনজনের ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ তবে গোলাম আযম ও আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মামলা এখনও রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য