1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যোগ্যতাসম্পন্ন অভিবাসীই চায় ডাচ সরকার

৮ নভেম্বর ২০১০

নেদারল্যান্ডসকে দীর্ঘদিন বহুসাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতার একটি দেশ হিসেবেই দেখা হয়েছে৷ অভিবাসী মানুষদের অব্যাহত জোয়ারের মুখে এই দেশটিতেও ভাবনার রদবদল ঘটছে৷ জোর পড়েছে অভিবাসীদের সমাজের মূলধারায় বেশি করে সম্পৃক্ত করার ওপর৷

https://p.dw.com/p/Q1JS
আয়ান হিরসি আলি একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ডাচ অভিবাসীছবি: AP

২০০৭ সালে নেদারল্যান্ডসে ইন্টিগ্রেশন কোর্স চালু করেছিল - যার মূল কথা অভিবাসী মানুষদের ডাচ সমাজের মূলধারায় সমপৃক্ত করা৷ এই বিধির আওতায় সকল অ-ইউরোপীয় অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এই কোর্স করা এবং কোর্স শেষে একটি পরীক্ষায় পাশ করা বাধ্যতামূলক৷ যারা এই কোর্সে যোগ দেবেনা তাদের স্থায়ী বাসের অনুমতি দেয়া হবেনা৷ সামাজিক ভাতার ওপরও তাদের কোন দাবি থাকবেনা৷

Blumenfest in den Niederlanden
ডাচ সংস্কৃতিকে জানতে সাহায্য করছে ইন্টিগ্রেশন কোর্সছবি: AP

মরক্কোয় জন্ম নেওয়া রহমুনা লাকধারী তেরো বছর আগে নেদারল্যান্ডস'এ এলেও সেদেশে এতদিন তিনি যেন এক বহিরাগতের জীবন কাটিয়েছেন৷ কাজের ক্ষেত্রে এবং কারো সঙ্গে নতুন করে বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে ভাষা ও সংস্কৃতি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর কাছে৷ কিন্তু গতবছর থেকে ৩৩ বছর বয়সি এই নারীর জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে৷ আর এইজন্য তিনি ডাচ সরকারকে ধন্যবাদ জানান৷ কেননা সরকারের অর্থসাহায্যে সমাজের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি কোর্স করছেন৷ তিনি মনে করছেন, এর মাধ্যমে তিনি নিজের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটাতে পারছেন, যা তাকে একজন দক্ষ অভিবাসী হতে সাহায্য করছে৷ আর এই ধরণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস'এর নতুন ডানপন্থী সরকার অভিবাসীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে৷

লাকধারী প্রতি সপ্তাহে দশ ঘন্টা সময় কাটান ডাচ স্কুলে৷ এখানে তিনি ডাচ ভাষা শিখছেন৷ শিখছেন এই সমাজে কিভাবে মেলামেশা করতে হবে৷ সরকার কিভাবে কাজ করে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কিভাবে সখ্যতা গড়ে তোলা যায়, ব্যাংক হিসেব কিভাবে খোলা যায় এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কি করতে হয় তাও শিখছেন তিনি৷ স্কুলে প্রশিক্ষণের এক ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপি'কে লাকধারী বলেন, ‘‘নেদারল্যান্ডস'এ থাকতে গেলে, এদেশকে জানতে হলে একজন মানুষের কি কি প্রয়োজন হয় এখন আমি কেবল সেগুলোই শিখছি৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক