1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌনাঙ্গ বাহিত রোগাক্রান্ত করে মার্কিন পরীক্ষা

২ অক্টোবর ২০১০

ডাক্তারি পরীক্ষার নামে তাদের শরীরে ঢোকানো হয়েছিল গনোরিয়া আর সিফিলিস জীবাণু৷ ‘তাদের' বলতে বলা হচ্ছে কয়েদি এবং মানসিক প্রতিবন্ধীদের৷ রোগ পরীক্ষায় কারা বেছে নিল এদেরকে?

https://p.dw.com/p/PSbt
ক্ষমা চাইলো যুক্তরাষ্ট্র (ফাইল ফটো)ছবি: AP

ঘটনা ১৯৪০ দশকের৷ মার্কিন ডাক্তাররা এই অমানবিক পরীক্ষা চালান গুয়েতেমালার কয়েদি এবং মানসিক প্রতিবন্ধীদের ওপর৷ একান্ত গোপনে তাদের শরীরে গনোরিয়া আর সিফিলিস সংক্রমণ করা হয়৷ এরপর অবশ্য আক্রান্তদের চিকিৎসাও করা হয়৷ কিন্তু তাতে কতজন আবার সুস্থ হয়েছিল তা জানা যায়নি৷

সিফিলিসের কারণে হৃদরোগসহ অন্ধত্ব, মানসিক অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ তাই, মানব শরীরে এমন রোগের পরীক্ষা সচরাচর দেখা যায়না৷ ওয়েলেসলি কলেজের প্রফেসর সুসান রাভারবি গুয়েতেমালার এই ঘটনা উদঘাটন করেন৷ তবে তিনি জানান, গুয়েতামালা সরকার মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এই কাজের অনুমতি দিয়েছিল৷

সম্প্রতি গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট এলভারো কোলম দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে৷ এরপরই ৬৪ বছর আগের এই অপকর্মের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়েছে৷ খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানিয়েছেন, ১৯৪০ দশকের এই পরীক্ষা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বিরুদ্ধ ছিল৷

১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সালের মধ্যে অমানবিক এই ডাক্তারি পরীক্ষা চালানো হয়৷ এজন্য বেছে নেয়া হয় ৭০০ মানুষকে৷ তাদের শরীরে যৌনাঙ্গ বাহিত রোগ গনোরিয়া এবং সিফিলিস সংক্রমণ করানো হয়৷ ডাক্তাররা রোগাক্রান্ত যৌনকর্মীদের দিয়ে কয়েদিদেরকে এই রোগে আক্রান্ত করানোর চেষ্টা করেন৷ কিছু মানুষকে আবার টিকার নামে জীবাণু দেয়া হয়৷ এরপর পরীক্ষা করে দেখা হয়, পেনিসিলিন সিফিলিস প্রতিরোধ করতে পারে কিনা৷

এই ঘটনায় আক্রান্তদের কোন ক্ষতিপূরণের ঘোষণা এখনো দেওয়া হয়নি৷ আপাতত শুধু তদন্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়