1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হুজির বোমা হামলার রায়

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ মে ২০১৪

এক যুগ পর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলার বিচার শেষ হয়েছে৷ আগামী ১৬ই জুন মামলার রায় ঘেষাণা করা হবে৷ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, এর মাধ্যমে দেশের জঙ্গিবাদের একটি অধ্যায়ের বিচার শেষ হবে৷

https://p.dw.com/p/1C8Vr
২০০১ সালের ১৪ই এপ্রিল রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১০ জনছবি: DW/M. Mamun

২০০১ সালের ১৪ই এপ্রিল৷ পহেলা বৈশাখের সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করা হয়৷ আর এই ঘটনায় শতাধিক আহতের মধ্যে অনেকেই এখন পঙ্গু হয়ে গেছেন৷ এই হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি বা হুজি ) তাদের শক্ত অবস্থানের জানান দেয়৷

ঘটনার পর মোট দু’টি মামলা হলেও মামলাগুলোর তদন্ত এবং বিচার শেষ করতে এক যুগ সময় লেগে গেছে৷ নানা কৌশলে মামলার তদন্ত ও বিচার কাজ দীর্ঘায়িত করা হয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম জাহিদ সরদার৷ অনেক টানা-হেঁচড়ার পর এবং দীর্ঘ আট বছর পর ২০০৮ সালের ২৯শে নভেম্বর হুজিবি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি৷ এরপর ২০০৯ সালের ১৬ই এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়৷ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রহুল আমিনের আদালতে বুধবার এই মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত ১৬ই জুন মামলার রায় ঘোষণার কথা বলে৷

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ‘ইসলামবিরোধী’ বিবেচনা করে ২০০১ সালের ১৪ই এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়৷ ১৪ জন আসামির মধ্যে হুজিবি নেতা মাওলানা মুফতি হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা আব্দুর রউফ, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া এবং মওলানা আকবর হোসাইন এখন কারাগারে৷

বাকি পাচঁজন আসামি এখনো পলাতক৷ তারা মওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই৷

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম জাহিদ সরদার জানান, আটকদের মধ্যে মুফতি হান্নান, আকবর ও আরিফ বোমা হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে৷ সাক্ষী দিয়েছেন ৬১ জন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আসামিদের অপরাধ প্রমাণে পুরোপুরি সক্ষম হয়েছি৷ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছি৷’’

তাঁর মতে, এই মামলাটির রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিদের একটি অধ্যায়ের অসান হবে৷ তবে আসামিদের আইনজীবী ফরুখ হোসেন দাবি করেন, আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়নি রাষ্ট্রপক্ষ৷ তাই তাঁর আশা, আসামিরা খালাস পাবেন৷

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বোমা হামলার পরও আসামিরা ছিল ধরা-ছোঁয়ার বাইরে৷ এরপরও তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টাসহ একাধিক বড় বড় বোমা এবং গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে৷ ২০০৮ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হুজিবি নেতা মুফতি হান্নান আটক হলে মামলার তদন্ত গতি পায়৷ আর আদালতে দেয়া তার জবানবন্দি থেকে জানা যায় আরো অনেক বোমা হামলায় জড়িতদের সম্পর্কে৷ জানা যায় বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কেও৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য