1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশে

১২ অক্টোবর ২০১০

বিএনপি-র সিরাজগঞ্জ সমাবেশ, তার ঠিক আগে ট্রেনে কাটা পড়া এবং বিক্ষোভ, এইসব কিছু ঘিরে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির অঙ্গন৷ মঙ্গলবারের সংবাদপত্রের পাতায় এসবই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রধান শিরোনাম৷ সঙ্গে বাস উদ্ধারের খবর৷

https://p.dw.com/p/Pc6h
রাজনৈতিক,বাংলাদেশ,বিএনপি,সিরাজগঞ্জ,রেল দুর্ঘটনা,আওয়ামী লীগ,খালেদা জিয়া, Khaleda Zia, Bangladesh, BNP,Awami League, Train Accident
এবার ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে নামতে ডাক দিলেন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)ছবি: DW

সিরাজগঞ্জ, রেল ‘দুর্ঘটনা' আর বিএনপি

দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কন্ঠ থেকে শুরু করে প্রায় সবকটি সংবাদপত্রের প্রধান খবর সিরাজগঞ্জের রেল কান্ড৷ যেখানে ট্রেনে কাটা পড়ে সাতজন বিএনপি সমর্থকের মৃত্যু এবং তারপরে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, লুঠপাটের খবর রয়েছে৷ এই দুর্ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপি পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ শুরু করেছে৷ বিরোধী নেত্রীর দাবি, ইচ্ছা করেই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার৷ উদ্দেশ্য ছিল সিরাজগঞ্জে আয়োজিত বিএনপির জনসভা বানচাল করা৷ রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনটি নিয়ম মেনেই চলছিল৷ লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা জনসভার লোকজন নিজেদের গাফিলতিতে মারা পড়েছেন৷ প্রসঙ্গত, ইত্তেফাকের খবর, এই কাটা পড়া এবং জনরোষ মিলিয়ে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়৷ সড়কপথেও যানজট দেখা যায়৷

রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান খালেদা জিয়ার

বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ট্রেন দুর্ঘটনাকে 'পরিকল্পিত' বলে দাবি করে 'খুনি সরকারকে রুখে দাঁড়ানোর' আহ্বান জানিয়েছেন, বলছে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর৷ সোমবার নাটোরের বনপাড়া বাজারে নিহত বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবুর স্মরণসভায় তিনি আরও যে নতুন আহ্বান জানিয়েছেন, তা হল ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে৷ খালেদা জিয়া ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশের কোনো কিছুই ঠিক মতো চলছে না৷ ব্যর্থ সরকারকে হঠাতে ছাত্রসমাজকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে৷ আমরা যে কর্মসূচি দেব, তাতে তোমরা শরিক হবে৷' জনবিরোধী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন বিরোধী নেত্রী৷

তুরাগের তীরে চল্লিশ কফিন

গত রবিবার নদীতে ডুবে যাওয়ার বত্রিশ ঘন্টা পরে নদীর তলায় একটি গর্তে আটকে থাকা অভিশপ্ত বাসটির সন্ধান পেয়ে যান উদ্ধারকারীরা৷ সব পত্রপত্রিকাতেই রয়েছে এই খবর৷ বলা হয়েছে, ডুবুরিদের অনুমান, বাসের মধ্যে অন্তত পঞ্চাশটি মৃতদেহ আছে৷ সোমবার রাতে একটি মৃতদেহ তোলা হয় নদীর গভীর থেকে৷ বাসটি ৩৮ ফুট নীচে রয়েছে৷ প্রথমে ড্রেজারের সাহায্যে বাসটি তোলার চেষ্টা করা হয়৷ তাতে কাজ না হওয়ায় চেন কপ্পা ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তার ফলে বাসটিকে পাঁচ ফুট ওপরে আনা গেছে৷ এদিকে নদীর তীরে স্বজনহারাদের শোকে বাতাস ভারী৷ ইতিমধ্যে চল্লিশটি কফিনও এসে পৌঁছে গেছে মৃতদেহগুলির জন্য৷

গ্রন্থনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার