1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির উষ্ণ সম্পর্কের ছোঁয়া আর নেই

১৪ জুলাই ২০১০

গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের আমল থেকে মহাজোট সরকার পর্যন্ত জার্মানি ও রাশিয়ার সম্পর্কের উষ্ণতা অব্যাহত ছিল৷ কিন্তু চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মস্কো সফরের সময় সেই সম্পর্কের ছোঁয়া দেখা গেল না৷

https://p.dw.com/p/OJ6U
পুটিন বা মেদভেদেভ’এর সঙ্গে তেমন উষ্ণ সম্পর্কে গড়ে ওঠে নি ম্যার্কেল’এরছবি: AP GraphicsBank/DW

শ্র্যোডার ও রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের মধ্যে যে ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা আজও অক্ষত রয়েছে৷ তার সুফল ভোগ করেছে জার্মানির শিল্প-বাণিজ্য জগতও৷ একাধিক ক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিশাল মাত্রা অর্জন করেছে৷ রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যেও সরাসরি সম্পর্ক বজায় রাখতে বছরে একবার করে দুই দেশের মন্ত্রিসভার যৌথ বৈঠকের রীতি চালু করা হয়৷ এই আলোচনার কাঠামোর আনুষ্ঠানিক নাম ‘পিটার্সবার্গ সংলাপ'৷ বুধবার রাশিয়ার ইয়েকাটেরিনবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশতম বৈঠক৷ সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী আরও জোরালো করার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শোনা গেলেও অতীতের উষ্ণতার তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে না৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে'র সঙ্গে রুশ নেতৃত্বের তেমন সখ্যতা গড়ে ওঠে নি৷ অথচ ফ্রান্স, ইটালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ইতিমধ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ উষ্ণ এক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন৷

Wladimir Putin besucht Gerhard Schröder
পুটিন ও শ্র্যোডার’এর বন্ধুত্ব আজও অটুট রয়েছেছবি: AP

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ও রুশ মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন৷ আলোচনাসূচির মধ্যে তেমন কোনো বিতর্কিত বিষয় না থাকলেও ম্যার্কেল বরাবরের মতো রাশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে ছাড়ছেন নি৷ বিশেষ করে রাশিয়ার মানবাধিকার কর্মী নাতালিয়া এস্তেমিরোভার হত্যার প্রসঙ্গটি আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷

শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হচ্ছে৷ দুই দেশের রেল সংস্থা ও জার্মানির সিমেন্স যৌথ উদ্যোগে রাশিয়ার জন্য প্রায় ২০০ ট্রেন তৈরি করবে৷ সিমেন্স রাশিয়ার ‘সিলিকন ভ্যালি' বলে পরিচিত একটি বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ রাশিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসছে৷ জার্মানির এক বেসরকারী জ্বালানি সংস্থা রাশিয়ায় দু-দুটি প্রকল্পে অংশ নেওয়ার ফলে রাশিয়ায় কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে৷

রাশিয়ায় মন্ত্রীসভার যৌথ বৈঠকের পর ম্যার্কেল চীন ও কাজাকস্তান সফর করবেন৷ শিল্প-বাণিজ্য জগতের ২৫ জন শীর্ষ প্রতিনিধিও ম্যার্কেল'এর সফরসঙ্গী হয়েছেন৷ রাশিয়ায় বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে জার্মান কোম্পানিগুলির স্বার্থ নিশ্চিত করার পর চীনেও রাজনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বোঝাপড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে৷ ডাইমলার কোম্পানি চীনে প্রায় ৮০ কোটি ইউরো মূল্যের যৌথ উদ্যোগে ট্রাক তৈরি করতে চায়৷

প্রতিবেদন. সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক