1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাসায়নিক দুর্ঘটনা সামলাবে হামবুর্গ

১৫ আগস্ট ২০১৬

শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিষাক্ত গ্যাস ব্যাপক প্রাণহানি ঘটাতে পারে৷ এমন বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য চাই ব্যাপক প্রস্তুতি, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী ও প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম৷ জার্মানির হামবুর্গ শহর সেই পথে এগিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1JiIP
Projekt #MEX_MANIA Fotowettbewerb Hamburger Hafen 22
ছবি: Florian Vitello

হামবুর্গ বন্দরের ‘স্পেশাল টাস্কফোর্স' বিপদের খবর পেয়েছে৷ যখনই বিষাক্ত রাসায়নিক নিয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তখনই পরিবেশ প্রহরীরা বেরিয়ে পড়েন৷ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সব রকম মারাত্মক বিপজ্জনক বস্তু সম্পর্কে তাঁরা বিশেষজ্ঞ৷ যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তাঁদের বিশেষ গাড়িগুলিতে উচ্চ প্রযুক্তির সেন্সর লাগানো আছে৷

হামবুর্গ বন্দরের কমার্শিয়াল এরিয়ার ঠিক মাঝে ‘স্পেশাল টাস্কফোর্স'-এর দপ্তর৷ এই এলাকায়ই সবচেয়ে বেশি রাসায়নিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ ঘটনাস্থলেই এক মোবাইল কমান্ড সেন্টার বসানো হয়৷ ফলে সময় ও শক্তির অপচয় হয় না৷

কর্মীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ পোশাক অত্যন্ত ভারি এবং সেটি পরার পদ্ধতিও বেশ জটিল৷ অন্যের সাহায্য ছাড়া সেই পোশাক পরা অসম্ভব৷ সেই পোশাকের মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও রেসপিরেটর-ও থাকতে হবে৷ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রাসায়নিক গ্যাস শরীরে ঢুকলে মৃত্যুও হতে পারে৷ তাই কোনো ভুলত্রুটির অবকাশ নেই৷

পরিমাপের যন্ত্র সহ সব সাজসরঞ্জামই সহজে বহন করা যায়৷ তবে অভিযানের আগে বিষ শনাক্ত করতে হয়৷ হ্যান্ডহেল্ড যন্ত্র ঘটনাস্থলে বিপজ্জনক পদার্থ শনাক্ত করে৷ সবকিছু দ্রুত হতে হবে৷ খুব বেশি সময় ধরে বিশেষ পোশাক পরে থাকা যায় না৷ জানালার কাচ ঝাপসা হয়ে গেলে বুঝতে হবে উত্তাপ বাড়ছে৷ তখন সতর্ক থাকতে হয়৷ টিম নমুনা সংগ্রহ করছে৷ পরিমাপের যন্ত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফল দেখিয়ে দেয়৷

হামবুর্গ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বন্দর৷ শহরের মধ্যেই তার অবস্থান৷ জাহাজে রাখা টক্সিক পদার্থে আগুন ধরে গেলে শহরের বাসিন্দাদের বিপদ হতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে এক মোবাইল হাইটেক ল্যাব কাজে লাগানো যেতে পারে৷ বিশাল দূরত্ব থেকেও পরিমাপ করা যেতে পারে৷

বিপজ্জনক গ্যাস কীভাবে শহরের উপর ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিজ্ঞানীরা এক অভিনব এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে তা জানতে পেরেছেন৷ তাঁরা হামবুর্গ শহরের কেন্দ্রস্থলের ৩৫ গুণ ছোট মডেল তৈরি করেছেন৷ ২৫ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের মধ্যে কৃত্রিম উপায়ে আবহাওয়া ও বাতাস চলাচলের প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব নকল করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ লেজারের মাধ্যমে গ্যাসের বিস্তার দেখা যায় এবং পরিমাপও করা যায়৷ গ্যাস কত তাড়াতাড়ি গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তা সত্যি ভয়াবহ বিষয়৷ বাড়িঘর ও অলিগলির মধ্যে এই অদৃশ্য বিপদের স্রোত সৃষ্টি হয়৷

আবহাওয়ার পূর্বাভাষের মতো বিষাক্ত গ্যাসের মেঘের বিস্তারেরও পূর্বাভাষ দেওয়া সম্ভব৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধারকর্মীরা নিখুঁতভাবে জানতে পারবে, ঠিক কোন এলাকার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যেতে হবে৷ নিরাপত্তা বাড়াতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা৷

জার্মানির প্রথম শহর হিসেবে হামবুর্গ-এর এমন এক মডেল তৈরি করা হয়েছে৷ এমন বিশ্লেষণের মাধ্যমে শুধু পরিবেশ বিপর্যয় এড়ানো যাবে না, বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করে হামলা চালানো হলেও মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য