1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাস্তার খাবারে পরিচ্ছন্নতা

৭ ডিসেম্বর ২০১৩

ঢাকার ফুচকা, চটপটি, ঝাল মুড়ি, ভাপা পিঠা, কলকাতার আলু-কাবলি বা দিল্লির পানি পুরি – এগুলোর স্বাদ নেননি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর৷ তবে এবার, এই সব খাবার যাতে শুধু সুস্বাদু না স্বাস্থ্যসম্মতও হয়, তারই দিকে নজর দিচ্ছে ভারত৷

https://p.dw.com/p/1AUGn
ছবি: picture-alliance/dpa

কেবল কলকাতা নয়, পুরো ভারত জুড়েই রাস্তার পাশে প্রচুর খাবারের দোকান দেখা যায়৷ ছোট ছোট ভ্যান বা মাথায় ঝুড়ি নিয়েও অনেকে খাবার বিক্রি করেন৷ রাস্তার খাবারের জনপ্রিয়তা যে, অন্য যে কোনো খাবারের চেয়ে বহুগুণ বেশি – তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ লাখ লাখ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এই পেশার উপর৷ অনেক সময় এ সব খাবার তৈরিতে পরিচ্ছন্নতা এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবহারের অভাব দেখা যায়৷ যার ফল, নানা পানিবাহিত রোগ, যেমন ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও জন্ডিস৷

এ কারণেই সম্প্রতি রাস্তার দোকানের এই বিক্রেতাদের খাবার তৈরিতে পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা দেয়ায় উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের কর্তৃপক্ষ৷ যেমন, টয়লেট ব্যবহারের পর হাত পরিষ্কার করা, খাবারের উপর হাঁচি না দেয়া এবং অবশ্যই নাক না খোটে৷

রাজধানী নতুন দিল্লিতে ডাল মাখনি বিক্রেতা তেজিন্দর সিং জানালেন, বেশিরভাগ রাস্তার দোকানি পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খুঁতখুঁতে না৷ তাই তাঁদের এ বিষয়ে শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন৷

খাদ্যের নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে গত অক্টোবর মাস থেকে তেজিন্দরসহ ৫০০ খাবার বিক্রেতাকে একটি সেমিনারে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷ ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মানদণ্ড নির্ধারক কর্তৃপক্ষ এবং রাস্তার খাদ্য বিক্রেতাদের জাতীয় সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কাজটি হচ্ছে৷

সেমিনারে তাঁদের শেখানো হয়েছে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার এবং দস্তানা পড়ে খাবার তৈরি করতে৷ কি কি করা একেবারে নিষেধ, তার একটা তালিকাও তৈরি করেছেন কর্তৃপক্ষ৷ তালিকার প্রথমেই আছে নাক খোটা যাবে না৷ এছাড়া আঙুল দিয়ে কান পরিষ্কার করা, খাবার নাড়াচাড়ার সময় ধূমপান না করা এবং যেখানে সেখানে থুথু না ফেলার নির্দেশও রয়েছে ঐ তালিকায়৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)