1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশি-বিদেশি অনেকেই জড়িত!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে৷ এ সব তথ্যে দেখা যাচ্ছে, হাকারদের সঙ্গে ফিলিপাইন্সের একটি ব্যাংক কর্মকর্তারা যেমন জড়িত, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকেরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1IEij
Symbolbild BBC Hacker Attack
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Pape

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে৷ এ সব তথ্যে দেখা যাচ্ছে, হাকারদের সঙ্গে ফিলিপাইন্সের একটি ব্যাংক কর্মকর্তারা যেমন জড়িত, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকেরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে৷

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় সর্বশেষ একটি মামলা হয়েছে৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা ঐ মামলায় বলা হয়, ৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ চুরির দিন ছিল শুক্রবার৷ অর্থাৎ সেদিন বাংলাদেশে ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন৷ তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ শাখায় ২৪ ঘণ্টা ডিউটির নিয়ম অনুযায়ী তখন সেখানে কর্মকর্তরা ছিলেন৷ তাঁরা সার্ভারে ঝামেলা দেখেও তা না জানিয়ে চলে যান৷ আর পরদিন দেখা যায় কম্পিউটারের প্রিন্টার কাজ করছে না৷

এদিকে ফিলিপাইন্সের পত্রিকা ইনকোয়েরার জানিয়েছে, ‘ফিলিপাইন্সের রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের(আরবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ব্যাগে করে ২০ মিলিয়ন ডলার বহন করেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া টাকা বলে ধারণা৷

আদালতের শুনানিতে ব্যাংকের কাস্টমার রিলেশনস অফিসার অ্যাঞ্জেলা তোরেস বলেন, ‘‘দেগুইতো বলেছিলেন, হয় আমাকে এ অর্থ ছাড় করতে হবে, না হয় আমি বা আমার বাবা খুন হবো৷'' অগার্ডো বলেন,‘‘কারা তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে, সে বিষয়ে আমি জিজ্ঞেস করিনি৷''

সুমন আহমেদ সাবির

ফিলিপাইন্সের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইন্সের রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের জুপিটার শাখায় ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ সেখান থেকে অর্থের একটা বড় অংশ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে৷ তবে ক্যাসিনোতেও সেই অর্থ ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷

ইনকোয়েরার-এর খবর অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের কাছে একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়, যেখানে ‘অর্থ ছাড় বন্ধ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ' করার অনুরোধ করা হয়েছিল৷ ঐ বার্তা হাতে পাওয়ার দিনই আরবিসির জুপিটার শাখার হিসাব থেকে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলা হয়৷

এ নিয়ে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা বাকি আছে৷ এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে শুধুমাত্র মালওয়ার দিয়ে হ্যাক করা হয়নি৷ এখানে দেশি-বিদেশি অনেকে জড়িত৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে ত্রুটি, প্রিন্টার কাজ না করা – এ সমস্ত বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷''

তাঁর কথায়, ‘‘আইটিকে আকার্যকর করা হয়েছে, না আইটিকে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য