1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুমেনিয়ায় ফ্র্যাকিং নিয়ে মানুষের আশঙ্কা

ফ্রাংক হ্যোফলিং/এসবি২১ জুন ২০১৪

বিশ্বজুড়ে জ্বালানির চাহিদা বেড়েই চলেছে৷ ফলে ‘ফ্র্যাকিং’-এর মতো বিতর্কিত প্রক্রিয়ারও প্রসার ঘটছে৷ রুমেনিয়ার একটি এলাকার মানুষ এ নিয়ে চরম পরিবেশ দূষণের আশঙ্কায় ভুগছেন৷

https://p.dw.com/p/1CLyF
রুমেনিয়ায় ফ্র্যাকিং এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছেছবি: picture-alliance/AP

রুমেনিয়ার পূর্ব প্রান্তে পুনজেশ্টি অঞ্চলে প্রথম ফ্র্যাকিং ড্রিল টাওয়ার তৈরি হয়ে গেছে৷ চারিদিকে কড়া পাহারার ব্যবস্থা রয়েছে৷ ভিডিও ক্যামেরা, কয়েক স্তরে কাঁটাতারের বেড়া৷ রক্ষীদের কড়া নজর৷ ভেতরে আমাদের প্রবেশ নিষেধ৷ শেভরন প্রকল্প ম্যানেজার গেয়রগে ওরবু বলেন, ‘‘সব কিছু শেষ হতে আরও হয়ত দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে৷ তারপর সব প্রস্তুত হয়ে যাবে৷''

পাশের গ্রামের চিত্র একেবারে আলাদা৷ সেখানে থাকেন লিলিয়ান সাভা৷ না আছে গ্যাস, না আছে পয়ঃপ্রণালী৷ কুয়া থেকে পানি তুলতে হয়৷ গ্রামের বাকি মানুষের মতো তিনিও প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেই চাষ করেন৷ স্থানীয় বাসিন্দা লিলিয়ান সাভা বলেন, ‘‘পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে আমাদের মনে ভয় রয়েছে৷ পানি দূষণের আশঙ্কা রয়েছে৷ শেষে হয়ত আমাদের পানি থাকবে না৷''

এই মুহূর্তে রুমেনিয়া তার প্রায় ৮০ শতাংশ গ্যাসের চাহিদা নিজেই পূরণ করে৷ এখন দ্রুত গতিতে ফ্র্যাকিং-এর কাজ চলছে৷ ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘শেল গ্যাস' ভাণ্ডার সে দেশেই আছে বলে অনুমান করা হয়৷ রয়েছে কোটি কোটি ইউরোর ব্যবসার সম্ভাবনা৷ সরকারের যুক্তি, এর ফলে রাশিয়ার উপর নির্ভরতা আর থাকবে না৷ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব কারোলি বরবেলি বলেন, ‘‘আমাদের শিল্পের প্রসারের কারণে ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়বে বলেই আমাদের প্রত্যাশা৷ তাই দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে জ্বালানির ক্ষেত্রে নির্ভরতা কমাতে সমাধান খুঁজতে হবে৷''

তাই প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ড্রিলিং-এর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকি রাশিয়ার ‘গাসপ্রম'-এর সার্বীয় শাখাকেও৷ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওটিলিয়া নুটা বিশ্বব্যাংকের জন্য কাজ করেছেন৷ দু'বছর আগেও যে সরকার ফ্র্যাকিং-এর ঘোরতর বিরোধী ছিল, সেই সরকারই যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে তিনি বিস্মিত৷ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওটিলিয়া নুটা বলেন, ‘‘সরকার এত দ্রুত মত বদলানোর কারণে স্থানীয় মানুষ ও বুখারেস্টেও সন্দেহ বাড়ছে যে, নিশ্চয় ঘুস বা সে রকম কিছু দেওয়া হয়েছে৷''

যে দেশে এত দুর্নীতি, সেখানে এই আশঙ্কা অযৌক্তিক নয়৷ তবে এমনও হতে পারে যে এর পেছনে শুধু ভয় কাজ করছে৷ সরকার এত কম তথ্য দেওয়ায় লিলিয়ানা সাভা সহ গোটা অঞ্চলের মানুষ অস্থির হয়ে উঠেছে৷ শেভরন প্রকল্প ম্যানেজার গেয়রগে ওরবু বলেন, ‘‘শুধু অনুসন্ধানের জন্য ড্রিলিং করায় এই প্রক্রিয়ার মেয়াদ দুই থেকে তিন মাস সীমিত৷ অগ্রগতি অনুযায়ী পরের সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷''

জমিতে ‘কেমিক্যাল ককটেল' ঢোকানো, অর্থাৎ ফ্র্যাকিং-এর আসল কাজ কবে শুরু হবে, শেভরন সে বিষয়ে নিশ্চুপ৷ কমপক্ষে সরকারি বয়ান অনুযায়ী আপাতত শুধু ড্রিলিং-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য