1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুশ গোয়েন্দা জোলি গেলেন রাশিয়ায়

২৬ জুলাই ২০১০

রুশ গোয়েন্দা জোলি! মানে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি৷ মস্কোতে পৌঁছলেন৷ পরনে লাল নাইট গাউন৷ ঠোঁটে মেখেছেন লাল লিপস্টিক৷ সরাসরি তাঁর কোথায় যাওয়া উচিৎ? একজন গোয়েন্দার তো যাওয়া প্রয়োজন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরে, তাই না!

https://p.dw.com/p/OUw8
হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিছবি: AP

কিন্তু জোলি সেখানে গেলেন না৷ তিনি গেলেন একটি সিনেমা হলে৷ কি কারণ?

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির তো সেখানেই যাবার কথা৷ কারণ, তিনি তো আর সত্যিকারের রুশ গোয়েন্দা নন৷ ‘সল্ট' নামের নতুন ছবিতে তাঁকে অপবাদ দেয়া হয়েছে অ্যামেরিকান গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেও তিনি নাকি রুশ গুপ্তচর! আর এই নিয়েই যত সাসপেন্স৷ নাম ভূমিকায় অভিনয় করা জোলি প্রথমবারের মতো রাশিয়া গিয়েছেন রবিবার তাঁর ছবির প্রিমিয়ারে যোগ দিতে৷

সন্ধ্যার সাড়া জাগানো আলো ঝলমলে এই অনুষ্ঠানেই তাঁর পরনে ছিল লাল রঙা নাইট গাউন৷ আর সেখানেই সুন্দরী এই অভিনেত্রীর সঙ্গে মোলাকাত হয়েছে তাঁর রুশ ভক্তকুলের৷ ওয়াকটিয়া বারিস্কি থিয়েটার হলে তাঁকে দেখতে হাজার শত শত মাইল পাড়ি দিয়েও এসেছিলেন কেউ কেউ৷

তিনি সেখানে পৌঁছবার পর চারিদিক থেকে সমস্বরে হর্ষধ্বনি ... অ্যাঞ্জেলিনা...অ্যাঞ্জেলিনা৷ সঙ্গে মুহুর্মুহু হাততালি তো ছিলই৷ একের পর এক অটোগ্রাফ দেন তিনি, ক্যামেরার সামনে নানা ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন৷ আর ছোট্ট একটি রুশকন্যা যখন তাঁকে হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছিলো, কেবল তার হাত ধরেই ক্ষান্ত হননি জোলি, কোলে তুলে ছোট্ট একটি চুমুও এঁকে দিয়েছেন তার নরম তুলতুলে গালে৷

এরপর তিনি মঞ্চে দাঁড়ালেন৷ রুশ ভাষা জানেন না জোলি৷ দুই একটি শব্দ অবশ্য শিখে ফেলেছিলেন এরই ফাঁকে, ছবির প্রয়োজনে৷ সেই শব্দগুলো বলেই সকলকে তাক লাগালেন তিনি৷ এরপর বললেন, ‘অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল আপনাদের মাঝে আসার, ছবির প্রিমিয়ারে যোগ দেয়ার৷ এবার সেটা পূর্ণ হলো৷ আমি খুব খুশি৷ আর আমার আশা আপনারা এই ছবি দেখে আনন্দ পাবেন৷'

আনন্দ যে দর্শকরা পেয়েছেন তা বোঝা গেলো ফিল্মের প্রজেক্টরটি ঘুরতে আরম্ভ করার সঙ্গে সঙ্গেই৷ তাঁর অভিনয় দেখে, ছবির কাহিনী, কারিগরি দিক দেখে মুগ্ধ দর্শকরা একের পর এক তালি দিয়ে, শিষ বাজিয়ে তাদের আনন্দ প্রকাশ করেছেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক