1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রূপগঞ্জের ঘটনায় আহত একজন মারা গেছেন

২৪ অক্টোবর ২০১০

রূপগঞ্জে শনিবারের সংঘর্ষে আহত একজন রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন৷ এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা৷ চলছে খন্ড খন্ড মিছিল৷ বিএনপি মহাসচিব উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/PmT4
ছবি: DW

ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জে সেনা আবাসন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শনিবার গুরুতর আহতদের একজন মোস্তফা জামাল রোববার সকালে মারা গেছেন৷ তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল৷ তাঁর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার আত্মীয়-স্বজন৷

বিকেল পর্যন্ত লাশ হাসপাতালেই ছিল৷ সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় লাশ রূপগঞ্জে পাঠানো হয়৷ ডাক্তাররা জানিয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মোস্তফা জামালের মৃত্যু হয়েছে৷ তিনি রূপগঞ্জের হরিনা গ্রামের কৃষক আব্দুর রফিকের ছেলে৷

শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রূপগঞ্জ থানায় কয়েক হাজার অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে৷ রুপগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক মো. মুনসেফ আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন৷ তিনি জানান, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়৷

রূপগঞ্জের কয়েতপাড়া ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন সেনা আবাসন প্রকল্পের জমির অধিগ্রহণ নিয়ে শনিবার আইন-শৃংখলাবাহিনী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়৷ এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়৷ ওই এলাকা থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে৷

এদিকে রোববারও রূপগঞ্জ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ স্থানীয় লোকজন এর মধ্যেই খন্ড খন্ড প্রতিবাদ মিছিল বের করে৷ ওই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে৷

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, শনিবারের সংঘর্ষের পর এখনও কয়েকজন গ্রামবাসী নিখোঁজ রয়েছেন৷ তারা বলেছে কোনভাবেই তারা তাদের ভিটেমাটি সেনা আবাস প্রকল্পে দেবে না৷

অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন৷ তিনি বলেছেন, রূপগঞ্জের ঘটনার জন্য হানিফ খালেদা জিয়াকে দায়ী করে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়েছেন৷ তিনি এই ঘটনার উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করে সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার কথা বলেছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম