1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেকর্ড পরিমাণ কমেছে আর্কটিকের ওপর ওজোন স্তর

৭ এপ্রিল ২০১১

আর্কটিকের ওপর ওজোন স্তর কমার পরিমাণ রেকর্ড লেভেলে পৌঁছেছে৷ আগামী কয়েক সপ্তাহে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলিতে অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ অস্বাভাবিক উচ্চ হতে পারে, বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/10pCm
ছবি: AP

গত শীতের শুরু থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আর্কটিক তার ওজোন স্তরের শতকরা ৪০ ভাগ হারিয়েছে, অতীতে পুরো শীতের সময়ে যে ওজোন স্তর হারানোর মাত্রা ছিল শতকরা ৩০ ভাগ৷ জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড মেটেওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউএমও৷

ডব্লিউএমও-র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বিশ্বের প্রাণী জগতকে রক্ষা করে যে ওজোন স্তর, তা আর্কটিকের উপর নজিরবিহীন ভাবে কমে গেছে৷ ওজোন স্তর কমার জন্য দায়ী বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি৷ কিন্তু এর আর একটি কারণ হল বায়ুমণ্ডলের শূন্যস্তরে প্রবল শৈত্য৷

Klimaerwärmung Eisschmelze auf Grönland Arktis p178
ছবি: AP

কম ওজোন স্তরের এলাকাটি মার্চ মাসে উত্তরমেরু থেকে সরে গ্রিণল্যান্ড এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ওপরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ঐ উত্তরাঞ্চলে আগামী কয়েক সপ্তাহে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অতিবেগুনি রশ্মি দেখা যাবে৷ ডব্লিউএমও বলেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে মধ্যাহ্নে সূর্যের উচ্চতা যতো বাড়বে, কম ওজোন স্তরের এলাকাগুলিতে অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণও সেই অনুপাতে বাড়বে৷ সেই সময় কি কার উচিত, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে তথ্য সরবরাহ করা হবে জাতীয় অতিবেগুনি পূর্বাভাষের মাধ্যমে ৷

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শূন্যস্তর হল বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় মুখ্য স্তর৷ বায়ুমণ্ডলের ৯০ শতাংশ ওজোন পাওয়া যায় এই স্তরে৷ সূর্য থেকে যে অতিবেগুনি রশ্মি ছড়িয়ে পড়ে তা ফিল্টার করে এই শূন্যস্তর, এবং সেই পন্থায় মানুষকে রক্ষা করে চর্ম ও চোখের ক্ষতি থেকে৷ মাঠের ফসলকেও অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা করে এই ওজোন স্তর৷

এক বিশেষ ধরণের পরিবেশ দূষণ ওজোন স্তর কমে যাওয়ার একটি কারণ৷ রেফ্রিজারেটর ইত্যাদিতে ব্যবহৃত সিএফসি বা ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন মন্ট্রিয়ল পরিবেশ চুক্তি অনুযায়ী ধীরে ধীরে বর্জন করা হচ্ছে বটে, কিন্তু এই ধরণের রাসায়নিক বহুকাল ধরে বায়ুমণ্ডলে থেকে যায়৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী