1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেয়ালকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা

৩০ নভেম্বর ২০১০

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেয়ালকে একটা দুটো নয়, পরপর পাঁচ গোলে হারিয়ে দারুণ উল্লসিত বার্সেলোনা৷ মেসির জাদু আবারও মাঠে হাজির৷ আর অন্যদিকে সম্প্রতি বাবা হওয়া রোনাল্ডোর কপাল এবারেও মন্দ৷

https://p.dw.com/p/QLSO
চেষ্টা কম করেননি রোনাল্ডো, কিন্তু নায়ক সেই মেসিছবি: picture-alliance/dpa

আবারও মেসির পায়ের জাদু

মারাদোনা যার সম্পর্কে এত উচ্ছ্বসিত, বিশ্বকাপে যে মেসি তেমন কিছু করার আগেই আর্জেন্টিনার দম শেষ, স্প্যানিশ লিগে কিন্তু সেই মেসির সৌরভ সবুজ মাঠ থেকে ফুটবল বিশ্বে ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে৷ যেমন ধরা যাক সোমবার৷ বার্সেলোনার তারকা মেসির সৌজন্যেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেয়াল মাদ্রিদের জালে এক আধটা নয়, পাঁচ পাঁচটা গোল জড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা৷ তার মধ্যে তিনটে গোলের নেপথ্য কারিগর এই লিওনেল মেসি৷

মেসি নিজে একটাও গোল করেন নি

মেসি নিজে গোল দেন নি, কথা একেবারে ঠিক৷ কিন্তু মেসিই গোল করিয়েছেন৷ বার্সেলোনার পাঁচটা গোলের মধ্যে জাভি, পেদ্রো আর বদলি খেলোয়াড় জেফেরনের তিনটে গোল ছাড়া বাকি দুটো গোল একাই দিয়ে গেছেন দাভিদ ভিয়া৷ বিশ্বকাপে স্পেনের এই ভিয়া ছিলেন ভয়ংকর৷ তো, লিগের সোমবারের খেলায় শেষ তিনটে গোলের নেপথ্যে থেকে সবকিছুই করে দিয়েছেন লিওনেল মেসি৷ যে কারণে মেসির জয়জয়কার সর্বত্রই৷ এই প্রতিভা পাচ্ছেন তাঁর যোগ্য সম্মান৷ তাছাড়া সোমবারের দিনটা রেয়ালের জন্য আরও লজ্জার হতে পারত যদি মেসি গোল পেতেন৷ খেলা শুরুর মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় মেসির জোরালো শট বারে লেগে ফিরে যায়৷ গোল হতেই পারত৷ বলাবাহুল্য এরকম গোল হতেই পারত-র সুযোগ মেসি এদিন অনেকগুলোই পেয়েছিলেন৷ সেগুলোও গোল হয়ে গেলে রেয়ালের আর মুখ লুকানোর জায়গা থাকত না৷ আর এই ফলাফলের পর বার্সেলোনা লিগ টেবিলের শীর্ষে চলে গেল৷ রেয়াল মাদ্রিদের তুলনায় তারা দুই পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে৷ লিগ এখন চলবে৷ সুতরাং রেয়ালের সামনে সুযোগ যে নেই সেকথা বলা যাবে না৷

মহাতারকা রোনাল্ডো!

রোনাল্ডোর সেই প্রভাব, সেই প্রতিপত্তি এদিনও যথারীতি প্রকাশ পেল না৷ মাঠে রোনাল্ডোকে সেভাবে অনুভব করাই যায় নি৷ খেলার শেষে রেয়ালের তরফ থেকে তাদের পর্তুগিজ কোচ মোরিনহো স্বীকার করে নিয়েছেন, বার্সেলোনারই দিন ছিল এটা৷ বলেছেন, ওদের সামনে আমরা দাঁড়াতেই পারিনি ভালো করে৷ বলে রাখা ভালো, বল দখলের লড়াইতে রেয়ালকে পিছনে ফেলে সত্তর শতাংশ একাই খেলে গেছে বার্সেলোনা৷ মোরিনহোর দলের অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক পরিকল্পনা কোন কাজেই লাগে নি৷ শেষ পর্যন্ত পাঁচ গোল হজম করে ফিরতে হয়েছে রোনাল্ডোদের৷ মোরিনহো অবশ্য বলেছেন, পরেরবার দেখে নেব৷ কিন্তু তার জন্য প্রচুর অনুশীলন দরকার তাঁর ছেলেদের৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম