1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোববার জাপার মন্ত্রীদের পদত্যাগ?

সমীর কুমার দে, ঢাকা৮ ডিসেম্বর ২০১৩

এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে এখনো নাটক চলছে৷ একই ধরনের নাটক চলছে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা সর্বদলীয় সরকারে আছেন কিনা তা নিয়েও৷

https://p.dw.com/p/1AUnb
আলোচিত চরিত্র এরশাদছবি: STR/AFP/Getty Images

শনিবার দুপুরে এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা৷ এরপর এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর দলের মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিতে যাচ্ছেন৷ এই ঘোষণার পর মন্ত্রীরা এরশাদের বাসা থেকে বের হয়ে রওশন এরশাদ ও মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদারের বাড়িতে আলাদা দুটি বৈঠক করেন৷ এরপর হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা পদত্যাগপত্র এখনো দেননি, রোববার দেবেন৷

পার্টি চেয়ারম্যানের আদেশ অমান্য করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি (অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো) বাংলাদেশ সফর করছেন, অন্যদিকে ছুটির দিন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়া না যাওয়ায় আজ পদত্যাগপত্র দেয়া সম্ভব হয়নি৷''

এর কিছুক্ষণ পরই বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, ‘‘আমরা দলের চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের পদত্যাগপত্র দিয়েছি, তিনি যা ভালো মনে করেন করবেন৷''

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর গত মঙ্গলবার নাটকীয় এক ঘোষণায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন এরশাদ৷ পরদিন তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা তাঁর দলের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করতে বলেন৷ এরপর বৃহস্পতিবার রওশন এরশাদসহ জাতীয় পার্টির কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও তাঁরা পদত্যাগপত্র দেননি৷ সেদিন এরশাদ দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমা নেয়ার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, শনিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তিনি পদত্যাগপত্রগুলো হস্তান্তর করবেন৷

এদিকে শনিবার সকালে সদ্য বহিষ্কৃত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, তিনি ‘বিশ্বস্ত সূত্রে' খবর পেয়েছেন যে, এরশাদ পদত্যাগ করেছেন, রওশন এরশাদ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হচ্ছেন৷ এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এরশাদ তাঁর বারিধারার বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে এসে বলেন, ‘‘আমি এইচ এম এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আছি, থাকব৷ আমি চেয়ারম্যান, আমি এখনো জীবিত, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ নেই৷ রওশন এরশাদ আমার কাছ থেকে ক্ষমতা নেননি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হননি৷ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই৷''

এদিকে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বা বেগম খালেদা জিয়ার ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই৷ আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ না করলেও সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এরশাদ ও তাঁর দল জাতীয় পার্টি সংবিধান রক্ষার্থে নির্বাচনে আসবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য