1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ভারতের আদালতের শর্ত

১৪ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে৷ শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2ln5D
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/C. Anand

এদিন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠানোর মামলার রায় দেয়ার কথা থাকলেও ‘‘এ বিষয়ে আরো স্বাক্ষ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে’’ উল্লেখ করে শুনানি আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷ রোহিঙ্গাদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, ‘‘এ সময়ের মধ্যে কোনো রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা হলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারবে৷’’ আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ‘‘রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে একটা বড় অংশ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ৷ তাদের কথা বিবেচনার সময় জাতীয় সুরক্ষার পাশাপাশি মানবাধিকারের বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে৷

গত আগস্টে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবক’টি রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেয় যে, ‘‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷’’ এ নির্দেশের বিরোধিতা করে রোহিঙ্গাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা ৩২ অনুচ্ছেদ নিয়ে যে আবেদন করেছে, তা শুনানিযোগ্য নয়, কারণ, ৩২ অনুচ্ছেদ দেশের নাগরিকদের জন্য; অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নয়৷ রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে, সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতেও মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে ভারত৷

ভারতে বর্তমানে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছে, যাদের বেশিরভাগ ২০১২ সালে রাখাইনে সহিংসতার পর সেখানে আশ্রয় নিয়েছে৷ ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে এবং তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে এদের কয়েকজনের যোগাযোগ আছে বলে দাবি করে৷ তাই এদের ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে মনে করে তারা৷
আরএন/এসিবি ( এএফপি, এপি, ডিপিএ)