1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাস্ট ট্যাঙ্গোর মারিয়া স্নাইডার আর নেই

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মাত্র ৫৮ বছর বয়সে চলে গেলেন বের্তোলুচ্চির সেই যৌন-আবেদনপূর্ণ ছবির ফরাসি নায়িকা৷ সঙ্গে নিয়ে গেলেন আধুনিক সংস্কৃতির, হলিউডের ইতিহাসের এক টুকরো৷

https://p.dw.com/p/10BC8
লাস্ট ট্যাঙ্গোর একটি দৃশ্যে ব্র্যান্ডো এবং স্নাইডারছবি: AP

তা না হলে এ' কাহিনী শোনানোর প্রয়োজন পড়তো না৷ কেননা ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির যুগে - অন্তত পশ্চিমে - বের্তোলুচ্চির সেই ১৯৭২ সালের ছবি দেখে কেউ বিস্মিত হবেন কিনা সন্দেহ৷ তবে সে আমলে হলিউডের নীতিবাগিশতা এবং শুচিবাই, দু'টোই একটা ধাক্কা খেয়েছিল - এ' কথা বলেছেন ‘লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস' ছবির পরিচালক বের্নার্দো বের্তোলুচ্চি নিজেই৷ এবং বলেছেন মারিয়া স্নাইডারের মৃত্যু উপলক্ষে৷

লাস্ট ট্যাঙ্গোর প্লট বলতে প্যারিসে এক মাঝবয়সি মার্কিনির সঙ্গে এক ফরাসি তরুণীর ব্যবসায়িকভাবে দৈহিক সম্পর্কের কাহিনী৷ ছবিটির ধাক্কা বলতে ছিল প্রধানত তিন: প্রথমত, ৪৮ বছর বয়সি মার্লন ব্র্যান্ডোর নিজস্ব আভিজাত্য৷ দ্বিতীয়ত, ১৯ বছর বয়সের মারিয়া স্নাইডারের যৌন আবেদন৷ তৃতীয়ত এমন সব দৃশ্য, যেগুলো আজও বহু দেশের সেন্সর বোর্ডে আটকে যাবে৷

যাই হোক, আজ মারিয়া মারা যাবার পর তাঁকে নারী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবেই দেখা হচ্ছে৷ কিন্তু লাস্ট ট্যাঙ্গোর শুটিং'এর সময় ১৯ বছর বয়সের মারিয়ার মনে হয়েছিল, তাঁকে অপব্যবহার করা হচ্ছে৷ বের্তোলুচ্চিকে তাঁর ভালো লাগেনি৷ সেক্স সিম্বলে পরিণত হতেও তাঁর ভালো লাগেনি৷ পরে ছবির রিলিজের পর ছবি নিয়ে কেলেঙ্কারিতে মাথা খারাপ হবার যোগাড় হয়েছিল, নার্ভাস ব্রেকডাউনও হয়েছিল৷

Bernardo Betolucci und Maria Schneider
লাস্ট ট্যাঙ্গোর মুহররতে বের্তোলুচ্চি এবং স্নাইডারছবি: AP

নার্ভাস ব্রেকডাউন থেকে ড্রাগস৷ আশির দশকে সেরে উঠে মারিয়া স্নাইডার আবার ছবি করা শুরু করেন৷ কিন্তু জীবনে আর কখনো নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে চাননি৷ শেষ জীবনে তাঁর অভিযোগ ছিল, লাস্ট ট্যাঙ্গো তাঁর সহজাত যৌবন কেড়ে নিয়েছে৷ - আজ বের্তোলুচ্চি বলছেন, লাস্ট ট্যাঙ্গোর যৌন দৃশ্যগুলোতে তিনি যে মারিয়াকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন, সেজন্য তাঁর মারিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার ইচ্ছা ছিল৷

মারিয়া স্নাইডারকে এই দৃষ্টি থেকে দেখলে মনে হবে, তিনি শুধু অতীতেরই নন, আমাদের এই ঘোর উদারপন্থি বর্তমানকেও যেন তাঁর কিছু বলার আছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম