1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান

৪ মার্চ ২০১১

লিবিয়ার বর্তমান রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটেনি৷ ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল তাকিয়ে আছে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সুরে সুর মেলাবে নাকি কিছুটা দুরত্ব রাখবে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখবে৷

https://p.dw.com/p/10TWb
লিবিয়া থেকে ফিরে আসা উৎফুল্ল মানুষছবি: AP

লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ের মেঘ ক্রমশই ঘন হচ্ছে৷ গাদ্দাফির পদত্যাগ থেকে শুরু করে জাতিসংঘের অধীনে সরাসরি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তথা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উঠে আসছে৷ পাশাপাশি ভূমধ্যসাগরীয় বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী জড়ো হচ্ছে লিবিয়ার কাছাকাছি৷ এই ঘটনা মিলিয়ে দেখছেন ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও বলেছেন, নো-ফ্লাই জোন আরোপ সমর্থন করেনা ভারত৷ কারণ এতে পরিস্থিতি এখন যা আছে তার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে৷ লিবিয়ার প্রতিবেশী আরব ও আফ্রিকান ইউনিয়নের দেশগুলির ওপর তার অভিঘাত হবে মারাত্মক৷ সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ব্যাপক৷ তাই এবিষয়ে যথেষ্ট সাবধানতার অবকাশ আছে৷ শুরু থেকেই লিবিয়ায় বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে ভারত৷ জাতিসংঘ সনদের ৪২ ধারার ৭ম অনুচ্ছেদ যেখানে বলপ্রয়োগের সংস্থান আছে, ভারত নেপথ্য আলোচনা চালিয়ে নতুন ৪১নং ধারা তৈরি করেছে যেখানে বলপ্রয়োগ বর্জনের কথা বলা হয়৷ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য গাদ্দাফির ইস্যুটা আন্তর্জাতিক আদালতে পাঠাবার জাতিসংঘের প্রস্তাব ভারত সমর্থন করায় অনেকে সরকারের তথাকথিত দ্বিচারিতার প্রশ্ন তুললে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আরব লীগ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের দেশগুলি লিবিয়ায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলায় এবিষয়ে একটা সহমত তৈরি হলে ভারত তাতে সায় দেয়৷ তবে সেই নিষেধাজ্ঞা হবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা নয়৷

লিবিয়ায় আটকা পড়া প্রায় ১৮ হাজার কর্মরত ভারতীয়দের উদ্ধারের কাজও জোরকদমে চলেছে৷ আজ পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার ভারতীয়কে বিমানে ও জাহাজে স্বদেশে আনা হয়েছে৷ বাকিদের উদ্ধারের জন্য সরকারের দুটি বোয়িং ৪৭৪ বিমান, একটি এয়ারবাস-৩৩০ এবং বেসরকারি বিমান সংস্থার বিমান নিয়মিত চলাচল করছে৷এছাড়া আছে দুটি জাহাজ৷ আগামী সপ্তাহে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার কাজ শেষ হবে জানান পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি৷

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক