1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের উপর পাল্টা আক্রমণ

৬ মার্চ ২০১১

গাদ্দাফি বাহিনী মিস্রাতার কাছে একটি নতুন রণাঙ্গণ খুলেছে, বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ৷ শহরটির উপর মর্টার এবং কামান দিয়ে গোলাবর্ষণ করছে৷

https://p.dw.com/p/10UI7
‘এটা যুদ্ধ নয়, বিপ্লব,’ বলেছেন এক বিদ্রোহী নেতাছবি: dapd

মিস্রাতা এবং জাউইয়া, পশ্চিমে তো এই দু'টি শহরই বিদ্রোহীদের দখলে৷ গাদ্দাফি অন্তত পশ্চিমাংশটাকে কণ্টকমুক্ত করার চেষ্টা করছেন৷ তবে কাজটা বিশেষ সহজ হবে না৷ মিস্রাতায় বিদ্রোহীরাও রকেট-চালিত গ্রেনেড এবং বিমান-বিধ্বংসী কামান নিয়ে আক্রমণের প্রত্যুত্তর দিচ্ছে৷ স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে এগারোটা নাগাদ মিস্রাতার উপর গোলাবর্ষণ শুরু হয়, কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরেই তা আবার প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বলে খবর৷

এছাড়া পূর্ব রণাঙ্গণেও যুদ্ধ কিছু থেমে নেই৷ সেখানে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির নিজের শহর সির্তের দিকে এগোচ্ছিল৷ কিন্তু উপকুলেরই ছোট্ট শহর বিন জাওয়াদের কাছে তারা গাদ্দাফি সৈন্যদের বাধা পায়৷ গাদ্দাফির প্রতি বিশ্বস্ত সৈন্যরা এখানেও জঙ্গিজেট ব্যবহার করেছে৷ হতাহতের কোনো খবর না থাকলেও, বিন জাওয়াদ থেকে রাস লানুফে প্রত্যাবর্তনরত বিদ্রোহী যোদ্ধাদের কাছ থেকে শোনা গেছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কথা৷ বর্ণনা হিসেবে কেউ বলেছেন, ‘‘মৃত্যু''৷ কেউ বলেছেন, ‘‘ভিয়েতনাম''৷

Libyen Gipfelkonferenz der Arabischen Liga
গতবছরও সির্তে’তে আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলন করিয়েছেন মুয়াম্মার গাদ্দাফিছবি: AP

বিন জাওয়াদ সির্তে থেকে শ'খানেক কিলোমিটার দূরে৷ বিদ্রোহীরা শনিবার বিন জাওয়াদ দখল করে, পরে আবার ছেড়েও দেয়৷ এবং তখনই গাদ্দাফির অনুগত সৈন্যরা সেখানে ঢুকে এই ‘এ্যামবুশ' বা ফাঁদ সৃষ্টির সুযোগ পায়৷ রাস লানুফে ডাক্তাররা দু'জন মৃত এবং ২২ জন আহতের কথা বলছেন৷ বিদ্রোহীরা তাদের ভারী মেশিনগান বসানো গাড়িগুলো নিয়ে রাস লানুফে ফিরে আবার নতুন করে তৈরী হচ্ছে৷

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তো একটি ব্রিটিশ মিশনের কথা শোনা যাচ্ছে৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী লায়াম ফক্স নিজেই বলেছেন, ব্রিটেনের একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল বেনগাজিতে রয়েছে৷ অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও একটি বিশেষজ্ঞ মিশন পাঠিয়েছে বলে ইইউ'এর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিনিধি ক্যাথরিন এ্যাশটন নিজে জানিয়েছেন৷ তবে ইইউ মিশনটি শুধুমাত্র মানবিক সাহায্য এবং উদ্বাস্তুদের স্থানান্তরণের প্রশ্নটি বিবেচনা করবে৷

যুদ্ধে এখন কি ঘটতে চলেছে, তাই নিয়েই জল্পনা-কল্পনা৷ বিদ্রোহীদের তরফে নানা খবর ও গুজবের মধ্যে এ'ও শোনা যাচ্ছে, সির্তের গাদ্দাফদা উপজাতির সদস্যরা নাকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে৷ বিদ্রোহীরা তাদের ‘ডাক' পাওয়ার অপেক্ষা করছে৷ সির্তের ফর্জান উপজাতির সৈন্যরাও নাকি বিদ্রোহীদের পক্ষে৷ কাজেই আজ নয়তো কাল সির্তের পতন ঘটবেই৷ তবে এখন এক একটি উপজাতি তারা কোনদিকে যোগ দেবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে৷ এক হিসেবে লিবিয়া তার ইতিহাসে ফিরে গেছে, বলা চলে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য