1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া নিয়ে ন্যাটো-ইইউ আলোচনা, শক্ত অবস্থানে পশ্চিম

১৫ এপ্রিল ২০১১

লিবিয়ায় ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সামরিক অভিযানের কৌশল নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বার্লিন বৈঠক৷ ন্যাটোর সাথে লিবিয়া ইস্যুতে সহযোগিতার ব্যাপারে এগিয়ে আসল ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এদিকে, নতুন ভিডিও বার্তা আল কায়েদার৷

https://p.dw.com/p/10uEv
ন্যাটোর বার্লিন বৈঠকছবি: picture alliance/dpa

বার্লিন বৈঠক থেকে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের ডাক দিয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়৷ এছাড়া গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর সামরিক অভিযান চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ তবে গাদ্দাফির পতনের বিষয়টিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত প্রস্তাব থেকে সরে আসার শামিল বলে মন্তব্য ফরাসি মন্ত্রীর৷ কারণ জাতিসংঘ মূলত লিবিয়ার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য লিবিয়ার আকাশ সীমায় নিষেধাজ্ঞা আরোপে ১৯৭৩ নম্বর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ অথচ এখন গাদ্দাফিকে অপসারণের প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে৷ ফ্রান্সের এলসিআই টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই স্বীকার করলেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেরা লঁগ৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘তিনটি দেশ একই সুরে কথা বলছে, তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ এবং হয়তো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একদিন এ বিষয়ে নতুন প্রস্তাব অনুমোদন করবে বলে আমি মনে করি৷''

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান

এদিকে, লিবিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে মিশরে অনুষ্ঠিত আরব লিগের বৈঠক শেষে শুক্রবার বার্লিন বৈঠকে যোগ দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশ্টন৷ তিনি লিবিয়ায় সামরিক ও মানবিক সহায়তার জন্য ন্যাটোর সাথে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার কথা ব্যক্ত করলেন৷ এক জার্মান কূটনীতিক জানিয়েছেন যে, লিবিয়ার সংকট সমাধানে ন্যাটো এবং ইইউ কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে পারে সেবিষয়ে আগামী সপ্তাহে দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক হতে পারে৷ এমনকি এ ব্যাপারে দুই সংস্থার খসড়া পরিকল্পনাও বিনিময় হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

Deutschland NATO Außenministertreffen in Berlin Gruppenbild
বার্লিন বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের একাংশছবি: dapd

আল কায়েদার নতুন ভিডিও বার্তা

অন্যদিকে, লিবিয়ায় ন্যাটো এবং মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে উত্তর আফ্রিকার মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানালো আল কায়েদা'র উপ-প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি৷ জঙ্গী তৎপরতার উপর নজরদারি সংস্থা এসআইটিই শুক্রবার জানিয়েছে ভিডিও বার্তায় জাওয়াহিরির এই আহ্বানের তথ্য৷ তাদের মতে, লিবিয়ায় পশ্চিমা বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর আগেই জাওয়াহিরির এই বক্তব্য ধারণ করা হয়৷ এতে জাওয়াহিরি বলেছে, ‘‘লিবিয়া, টিউনিশিয়া, আলজেরিয়াসহ অন্যান্য মুসলমান দেশের ভাইদের আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী যদি লিবিয়ায় প্রবেশ করে, তাহলে প্রতিবেশী দেশ মিশর, টিউনিশিয়া এবং আলজেরিয়ার মুসলমানদের জেগে উঠা উচিত এবং গাদ্দাফি ও ন্যাটো উভয় বাহিনীর ভাড়াটে সৈনিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা উচিত৷'' এর আগে আল কায়েদার অপর শীর্ষ নেতা আনওয়ার আল-আওলাকি এক বিবৃতিতে বলেছে, আরব বিশ্বে চলমান আন্দোলন ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর জন্য সুযোগ খুলে দেবে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য