1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া ফেরত বাংলাদেশিদের পুনর্বাসন নিয়ে দুশ্চিন্তা

৭ মার্চ ২০১১

লিবিয়া থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা না গেলে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷ বায়রার মহাসচিব বলেছেন, ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য যথাসময়ে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/10UOO
ফেরত আসা কয়েকজন বাংলাদেশিছবি: DW

সরকারী হিসেবে লিবিয়ায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের কথা বলা হলেও বাস্তবে এই সংখ্যা ৮০ হাজারের কম হবে না বলে ডয়চে ভেলেকে জানান বিদেশে শ্রমশক্তি রফতানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলি হায়দার চৌধুরী৷ তিনি বলেন, এই বিপুল পরিমাণ শ্রমিক দেশে ফিরে আসার পর তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা না গেলে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে৷

বায়রার মহাসচিব আরও বলেন, উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় প্রচুর বাংলাদেশি শ্রমিককে কুয়েত থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল৷ তখন সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তায় তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে সক্ষম হয়৷ এবারও সেই ব্যবস্থা করতে হবে৷ এজন্য বায়রার নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন৷ পেশ করবেন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব৷ আর তারাও লিবিয়া থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের সহায়তা করতে চান৷

আলি হায়দার চৌধুরী বলেন, এই পরিবর্তনের ঢেউ যদি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে লাগে, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ৷ কারণ বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি জনশক্তির ৪০ ভাগই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে৷ তিনি জানান, বাংলাদেশে অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের বৈদেশিক মুদ্রা৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন প্রায় ৭৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন৷ তারা গত এক বছরে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছে৷ প্রচলিত শ্রমবাজার বাদ দিয়ে নতুন বাজার খোঁজার কথা বলা হলেও বাংলাদেশের শ্রমিকরা সেই বাজারের জন্য এখনো দক্ষ হয়ে ওঠেননি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন