1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লেবাননকে সহিংসতামুক্ত রাখতে আহ্বান

৩১ জুলাই ২০১০

লেবাননের রাজনৈতিক উত্তেজনা দূর করতে শুক্রবার সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ একসঙ্গে দেশটি সফর করেছেন, যার প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ৷

https://p.dw.com/p/OYkN
Lebanese President Michel Suleiman, right, meets with Saudi King Abdullah, center, and Syrian President Bashar Assad
বৈঠক করছেন তিন নেতাছবি: AP

শুক্রবার দুই দেশের নেতা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল সুলাইমান৷ বৈঠকের ব্যাপারে বিস্তারিত কোন কিছু জানানো হয়নি৷ তবে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে যে নেতৃবৃন্দ লেবাননের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছেন যাতে করে কোন ধরণের সহিংসতা নতুন করে শুরু হতে না পারে৷ এছাড়া গোষ্ঠীগত স্বার্থকে পেছনে ফেলে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও তাঁরা বলেছেন৷ এছাড়া কোন ধরণের মতপার্থক্য তৈরি হলে তা নিয়মতান্ত্রিক এবং আইনগত পদ্ধতিতে সুরাহার জন্য জোর দিয়েছেন সৌদি আরব এবং সিরিয়ার নেতৃবৃন্দ৷

উল্লেখ্য, লেবাননের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পিতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক আল হারিরি ২০০৫ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হন৷ কিছুদিন আগে জাতিসংঘের ফৌজদারি আদালত এই হত্যাকান্ডের জন্য লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করতে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়৷ এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়৷ হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ আন্তর্জাতিক আদালতের এই সম্ভাব্য অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ একই সঙ্গে এর পেছনে ইসরায়েলের সংযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে লেবাননের জোট সরকার ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ এই অবস্থাতে উত্তেজনা প্রশমনে সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশটি সফর করলেন এবং সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানালেন৷ এর আগে ২০০৮ সালেও লেবাননের সরকার গঠন নিয়ে হারিরি জোট এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল৷

late Lebanese Prime Minister Rafik Hariri, left and his son, leader of the parliamentary majority Saad Hariri
পিতা রফিক হারিরি (বামে) ও ছেলে সাদ হারিরি (ডানে)ছবি: AP

এদিকে দুই নেতার এই সফরকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ৷ লেবাননে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক মাইকেল উইলিয়াম এক বিবৃতিতে বলেছেন, লেবাননের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের জন্য আরব দেশগুলোর প্রধানের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এবং এই সফর তাতে কল্যান বয়ে আনবে৷

এদিকে সৌদি আরব এবং সিরিয়ার পর লেবানন সফর করছেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খালিফা আল থানি৷ সৌদি বাদশাহ এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বৈরুত ত্যাগ করার পর তিন দিনের সফরে তিনি সেখানে পৌঁছেন৷ তিনি লেবাননের স্থিতিশীলতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন৷ কাতারের আমির বলেন, আমরা আশা করব লেবাননের শত্রুরা যা চায় সেদিকে তারা পা বাড়াবে না৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদ সুলতানা