1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লেহ’এর মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির কারণ ভূমন্ডলীয় উষ্ণায়ন

১০ আগস্ট ২০১০

প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার নেপথ্য কারণ মানবজাতির হঠকারিতা৷ গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা ভূমন্ডলীয় উষ্ণায়ন অনেকটাই দায়ী এজন্য - এমনটাই বলছেন পুণের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরলজির আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/OhZI
ছবি: AP

উত্তর গোলার্ধের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ কিন্তু এটা বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি৷ ফলে নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে লেহতে বর্ষা বাতাস হয়ে ঢোকে৷ সাধারণতঃ লেহ'তে শুষ্ক অঞ্চলের তুলনায় বৃষ্টি কম হয়৷

উত্তর গোলার্ধ থেকে আসা শুষ্ক, ঠান্ডা মেরুদেশীয় হাওয়া যখন দক্ষিন গোলার্ধ থেকে আসা গরম, আর্দ্র, বর্ষাকালিন বাতাসের সঙ্গে মেশে, তখনই হয় মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি- বলেন গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়া প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী নিত্যানন্দ সিং৷

উল্লেখ্য, লেহ'এর মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে ও হড়কা বানে মারা যায় ১৬৫ জন৷ নিঁখোজ প্রায় ৫০০৷ তিনি বলেন, পাকিস্তান, চীন, তিব্বত, মাঞ্চুরিয়া ও অন্যান্য দেশে এবছর যে চরম আবহাওয়া অনুভূত হয়েছে, তার কারণ দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় বর্ষাকালিন বৃষ্টিপাতের ওপর উষ্ণায়নের প্রভাব৷

কী করে হয় মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি যাকে বলে ক্লাউডবার্স্ট৷ সাধারণত বর্ষাকালে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় জলভরা উল্লম্ব মেঘ ভেঙ্গে এই বৃষ্টি হয়৷ ঐ মেঘ বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগর থেকে সমতল পেরিয়ে পাহাড়ের দিকে যায়৷ পাহাড়ের গা বেয়ে ক্রমশ উঁচুতে ওঠে৷ এক সময়ে তার মধ্যে জলের ঘনত্ব এতটাই বেশি হয় যে, মেঘ তা ধরে রাখতে পারেনা৷ বিপুল উচ্চতা থেকে ঐ মেঘের সব জলকণা একসঙ্গে বৃষ্টি আকারে ঝরে পড়ে একটি ছোট জায়গায়৷ উপমহাদেশে সাধারণত বর্ষাকালে এমন মেঘ তৈরি হয়৷ তবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে পাহাড়ি এলাকাতে শীতের মুখেও হতে পারে৷

গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহ প্রতিষ্ঠানের অপর বিজ্ঞানী জে.আর কুলকার্নি জানান যে, লেহ'এর মত পাহাড়ি এলাকায় অটোমেটিক আবহাওয়া কেন্দ্র ও ব়্যাডার থাকা জরুরি৷ ব়্যাডার প্রতি ৬ মিনিটে মেঘের গতিপ্রকৃতি নিরীক্ষণ করে সতর্ক সঙ্কেত দিতে পারবে তিন ঘন্টা আগে৷ ফলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হবার সম্ভাবনা থাকে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ