1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শশীকে সরানোর দাবি এখন কংগ্রেসের মধ্যেই

৪ মার্চ ২০১০

তাঁর নাম শশী থারুর৷ তাঁকে নিয়েই যত গোলযোগ এখন কংগ্রেসের ওপরমহলে৷ ভারতের নতুন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শশী থারুরকে কী শেষমেস সরিয়েই দিতে বাধ্য হবে কংগ্রেস ? শশী তাই এখন শুধু বিতর্কিতই নন, সমস্যাতেও৷

https://p.dw.com/p/MJ8S
নির্বাচনী প্রচারে শশী থারুরছবি: Fotoagentur UNI

প্রায় সকলকেই চটিয়েছেন তিনি৷ কংগ্রেসের নেতৃত্ব তাঁর ওপর চটেছে উল্টোপাল্টা মন্তব্যের জন্য৷ দেশের ভিসা নীতি নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য, ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট না বুঝে টুইটার আর ফেসবুকে একের পর এক হৈচৈ৷ পাকিস্তান ভারত সম্পর্কে সৌদি আরবের ভূমিকা৷ সবকিছু নিয়েই মনমোহনের মন্ত্রিসভার তথাকথিত তরুণ তুর্কিদের একজন শশী থারুর একের পর এক বিতর্ক বিবাদ ঘটিয়ে গেছেন৷ এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে কিছুদিন আগেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী শশীকে ডেকে মুখে কুলুপ আঁটার পরামর্শ দিয়েছিলেন৷

Sonia Gandhi und Manmohan Singh
সোনিয়া মনমোহন দুজনেরই কাছের মানুষ শশীছবি: UNI

কিন্তু, বিধি বাম৷ চুপ করে বসে থাকার ছেলে যে তিনি নন, তা বুঝিয়ে দিলেন শশী আবারও৷ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে৷ সেখানে রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলে এসেছেন, ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যস্থতা করা উচিত সৌদি আরবের৷ এরপরেই কংগ্রেস নেতৃত্বের ভিতর থেকেই ‘শশী হঠাও' বলে দাবি উঠছে৷

দলের মধ্যে চাপ শুরু হয়ে যাওয়ার পর সত্যিই সমস্যায় কংগ্রেসের উঁচু মহল৷ এতদিন বিরোধীরা শশীর নানা কাজ কারবার নিয়ে কেবলই নালিশ আর নিন্দা জানিয়ে আসছিল৷ দু একটি ক্ষেত্রে সরকারকে বেকায়দায় যে শশী ফেলেন নি তাও নয়৷ কিন্তু এখন আপত্তি দলের ভিতরেই৷ তার ওপর মিডিয়াকেও চটিয়েছেন শশী৷

আসলে এতদিন পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি পর্যায়ে কাজ করা শশী থারুর ভারতের রাজনীতির অন্দরমহল, বিশেষ করে কংগ্রেসি রাজনীতির ভিতরে কখনোই ঢোকেন নি৷ তাঁর অনভিজ্ঞতা অতএব কিছুটা তো রয়েছেই৷ তার ওপর বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি শশীর যাবতীয় ব্যাপারকেই বিতর্কে টেনে আনতে কসুর করেনি৷ সব মিলিয়ে কংগ্রেসকে এই নতুন মন্ত্রী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে৷ কারণ, আসন্ন মন্ত্রিসভা রদবদলে শশীকে সরানোর দাবি মন্ত্রীদের অনেকেই করে বসেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে৷

সমস্যা হল, প্রধানমন্ত্রী নিজে আবার যথেষ্ট স্নেহ করেন শশীকে৷ ফলে তিনি কী চাইছেন, সেটাই হয়ে উঠতে পারে প্রধান বিচার্য৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম